মাদ্রাসছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শনিবার রাঙ্গামাটি ও কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন নুসরাত জাহান রাফি হত্যার পরিকল্পনাকারী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম বলেন, শনিবার বিকেলে রাঙ্গামাটি টিঅ্যান্ডটি এলাকায় অভিযান চালায় পিবিআই। এ সময় একটি বাড়ি থেকে ইফতেখার হোসেন রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ইফতেখার সোনাগাজীর চর গণেশ এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে কুমিল্লার পদুয়ারবাজার এলাকা থেকে এমরান হোসেন মামুনকে পিবিআই আটক করেছে বলে তার পরিবার দাবি করেছে। তবে তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি পিবিআই।
নুসরাত হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত মামলার এজাহারভুক্ত আটজনসহ মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন পাঁচজন। ১৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দেয়া হয়েছে।
৬ এপ্রিল শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদরাসার এক ছাত্রী সহপাঠী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে এমন সংবাদ দিলে ওই বিল্ডিংয়ের তিনতলায় যান।
সেখানে মুখোশ পরা চার-পাঁচজন ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। সে অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।
পাঁচদিন পর ১০ এপ্রিল বুধবার রাত ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি।
টাইমস/জেডটি