ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আমিনুল হক খাদেম হত্যায় ৬ জনের ফাঁসির রায়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার খরমপুর মাজারের সম্পত্তির দখল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ১০ বছর আগে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমিনুল হক খাদেমকে গুলি করা হত্যা করা হয়। সেই হত্যার দায়ে ছয় জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার এই রায় দেন। এই রায়ে আরও এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।

ফাঁসির রায় পাওয়া আসামিরা হলেন- শহিদুর রহমান খাদেম ওরফে মিনু খাদেম ওরফে মামা খাদেম, মাহবুব আলম লিটন ওরফে দাঁত ভাঙা লিটন, শেখ শামীম আহম্মেদ, মো. জুয়েল, কামাল হোসেন বিপ্লব এবং সোহেল ওরফে ক্যাটস আই সোহেল। তাদের মধ্যে লিটন ও বিপ্লব পলাতক।

আরেক পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বাবু ওরফে হোন্ডা বাবুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।  পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই জরিমানা দিতে না পারলে তাকে আরও এক বছর জেল খাটতে হবে। হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর আসামি আজগর হোসেন রানাকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।

২০০৯ সালের ৪ মে বিকালে ঢাকার মালিবাগ শাহী মসজিদের কাছে মাজার গলিতে গুলি করে হত্যা করা হয় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমিনুল হক খাদেম ওরফে আনিস খাদেমকে।

আমিনুল হক খাদেম ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আখাউড়ার খরমপুর মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ঢাকায় তিনি পরিবার নিয়ে থাকতেন বাসাবোর সবুজবাগ এলাকায়।

মাজারের সম্পত্তির দখল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শহিদুর রহমান খাদেমের নির্দেশে আমিনুলকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়।

হত্যার পরদিন রাজধানীর মতিঝিল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন আমিনুল হক খাদেমের ছেলে সাইদুল হক খাদেম ।

২০০৯ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত শেষে আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় র‌্যাব। ২০১৪ সালের ৮ জুন অভিযোগ গঠন করে আসামিদের বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। বাদীপক্ষে মোট ১৭ জনের সাক্ষ্য শুনে আদালত বৃহস্পতিবার সাতজনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করল।

 

 

টাইমস/এসআই

 

Share this news on: