ইবনে সিনার নার্সকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী থেকে বাজিতপুরের পিরিজপুর বাসস্ট্যান্ড যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী বাসে নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে (২৩) ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে।  

বুধবার সকালে বাজিতপুর থানায় মামলাটি করেন শাহিনুরের বাবা গিয়াস উদ্দিন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

নিহত শাহিনুর আক্তার তানিয়া কটিয়াদি উপজেলার লোহাজুড়ি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। তিনি ঢাকায় ইবনে সিনা হাসপাতালের নার্স ছিলেন।

সোমবার বিকালে ঢাকার মহাখালী থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে করে কটিয়াদি ফেরার পথে তাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন কটিয়াদি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, বাসটি সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কটিয়াদি আসার পর তানিয়া ও অন্য দুই যাত্রী ছাড়া সবাই নেমে যায়। উজানচর এলাকায় ওই দুই যাত্রীও নেমে যায়। বাসটি গজারিয়া এলাকায় পৌঁছালে চালক ও সহকারী তাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে দেয়। সেখান থেকে এলাকাবাসী তাকে কটিয়াদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তানিয়ার বড় ভাই বাদল মিয়ার অভিযোগ, ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করে তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে।

মামলায় যে চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সালুয়াটেকি গ্রামের নুরুজ্জামান নুরু (৩৯), একই জেলার বীর ওজোলী গ্রামের লালন মিয়া (৩৩), বেঙ্গাবদি গ্রামের আল আমিন (২৮) ও বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর গ্রামের আবদুল্লাহ আল মামুন (৩৭)।

চারজনের মধ্যে পুলিশ নুরুজ্জামান ও লালনকে গ্রেপ্তার করেছে। নুরুজ্জামান বাস চালক আর লালন চালকের সহকারী। আল আমিনও চালকের সহকারী এবং ঘটনার রাতে তিনি শাহিনুরকে হাসপাতালে নিয়ে যান। আবদুল্লাহ আল মামুন পিরিজপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা। মামুন পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি পিরিজপুর বাজারের একজন ইজারাদার।

পুলিশ গ্রেপ্তার হওয়া নুরুজ্জামান ও লালনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে বুধবার কিশোরগঞ্জ আদালতে আবেদন করবে।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: