ঢাকার উত্তরখানের এক বাসা থেকে রোববার রাতে এক নারী ও তার ছেলে-মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় লাশগুলোর পাশ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। সেখানে লেখা ছিল- ‘আমাদের মৃত্যুর জন্য আমাদের ভাগ্য এবং আমাদের আত্মীয় স্বজনের অবহেলা দায়ী। আমাদের মৃত্যুর পর আমাদের সম্পত্তি দান করা হোক।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
উপ-কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল জানান, রাত ৮টার দিকে ওই বাসার অন্য ভাড়াটিয়ারা গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ রাতেই উত্তরখানের ময়নারটেক এলাকার ওই বাসায় যায়। এসময় বাসার ভেতর থেকে দরজা আটকানো ছিল। দরজা ভেঙে তিনজনের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওই নারীর নাম জাহানারা বেগম মুক্তা (৪৮)। তার স্বামী বেশ কিছুদিন আগে মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এছাড়া জাহানারার ছেলে নিহত মহিব হাসান (২৭) এ মাসের শুরুতে ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। আর মেয়ে আতিয়া সুলতানা মিম (১৯) ছিলেন প্রতিবন্ধী। নিহতদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের জগন্নাথপুরে।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানায়, মা ও মেয়ের লাশ বিছানায় এবং ছেলের লাশ মেঝেতে পড়ে ছিল। লাশগুলো ফুলে যাওয়ায় ঠিক কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট বোঝা যায়নি।
দক্ষিণ খান জোনের সহকারী কমিশনার এফএম ফয়সল জানান, ময়নারটেকে একতলা ওই ভবনে চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে। একটি ফ্ল্যাটে নিহতরা থাকতেন। মে মাসের শুরুতে তারা ওই ভাড়া বাসায় ওঠেন। লাশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, দিন দুয়েক আগে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নিহতের পরিবারের আত্মীয়দের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তারা। পাশাপাশি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
টাইমস/জিএস