চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় ঘরে ঢুকে ভাইকে না পেয়ে বোনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, মহানগর হাকিম আল ইমরান সোমবার প্রত্যেকের জন্য তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেপ্তার নূরনবী, মুছা ও আহমদ কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার নূর আলম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তাকে আদালতে নেয়া হয়েছে।
বাকলিয়ার বলিরহাট বজ্রঘোনা এলাকায় মদিনা মসজিদের পাশে গত শনিবার রাতে এক বাড়িতে ঢুকে বুবলি আক্তার নামে ২৮ বছর বয়সী এক নারীকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুবলিদের বাড়িতে স্থানীয় কয়েকজন হামলা করেছিল তার ভাই রুবেলকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে। বুবলি ওই সময় ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হন।
ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে বুবলির বাবা নোয়া মিয়া শনিবার রাতে বাকলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ছয় আসামি হলেন- শাহ আলম, তার ভাই নূর আলম (২৫), নবী হোসেন (৬০), মো. জাবেদ (২৪), মো. মুছা (৪০) ও আহমদ কবির (৪২) ।
তাদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি শাহ আলম ওই রাতেই পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। শাহ আলমের ছোট ভাই নূর আলম ও তাদের সহযোগী নবী হোসেনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
মামলার এজাহারে নোয়া মিয়া বলেছেন, তার ছেলে রুবেল পেশায় কাঠমিস্ত্রি। শনিবার রাতে শাহ আলম দলবল নিয়ে রুবেলকে খুঁজতে তাদের বাসায় যায়। বুবলি তাদের বাধা দিলে তার ‘মুখে পিস্তল ঠেকিয়ে’ গুলি করে শাহআলম।
শাহ আলমকে ওই এলাকার একজন ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী’ হিসেবে বর্ণনা করে মামলার এজাহারে বলা হয়, রুবেলের কাছে টাকা দাবি করে তা না পেয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা চালায় সে।
টাইমস/এসআই