হাসপাতালে চিকিৎসকের সামনেই দা দিয়ে আহত সাবেক নেতার হাতের চার আঙুল কেটে ফেললেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
আহত ওই নেতার নাম জি এম তুষার। তিনি ইলেকট্রনিক্স দোকানি ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।
তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর বিকেলে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নেয়া হয়।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরার কলারোয়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শফিকুল ইসলামের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তুষার। এ সময় দায়ের কোপে তার ডান হাতের চারটি আঙুল কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু জানান, সকালে কলারোয়ার মুরারিকাঠি গ্রামে বিরোধপূর্ণ একটি জমিতে যান জি এম তুষার।
সেখানে তুষারের সাথে কথা কাটাকাটি হয় ছাত্রলীগের পলাশ, সিজান ও মন্টুর। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। এতে দুই পক্ষই কমবেশি আহত হয়।
চেয়ারম্যান জানান, আহত তুষার কলারোয়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। এদিকে তার হাতে ছাত্রলীগের তিন নেতা মার খেয়েছেন এমন খবরে উত্তেজিত হয়ে কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাগর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান নাইস ও মন্টু কয়েকজনকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে তুষারের ওপর হামলা করেন।
আরএমও ডা. শফিকুল ইসলামের সামনেই মেহেদি তার কাছে থাকা ধারালো দা দিয়ে মাথায় কোপ মারতে গেলে তুষার ডান হাত দিয়ে তা ঠেকানোর চেষ্টা করেন। এতে তার ডান হাতের চারটি আঙুল মূহূর্তে কেটে মেঝেতে পড়ে যায়।
দ্রুত তাকে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে বিকেলে তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
কলারোয়া থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় রেজাউল ইসলাম নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
টাইমস/জেডটি