ঢাকার কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানকে ভাগ করার দাবি উঠেছে। তাবলীগ জামাতের মাওলানা সাদপন্থীরা এ দাবি জানিয়েছেন।
মসজিদ ও মাঠ সমানভাবে ভাগ করে দিলে দু’গ্রুপের মধ্যে বিরাজমান সংঘাত সমাধান হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তারা।
ভারতের মাওলানা সাদ কান্দালভি অনুসারীরা বলছে, তাবলিগ জামাতের দু’পক্ষের মধ্যে দূরত্ব অনেক বেড়েছে।
মাওলানা সাদের অনুসারী অংশের অন্যতম নেতা রেজা আরিফ বলেন, টঙ্গির মাঠটাকে ইজতেমার জন্য আর কাকরাইল মসজিদ তবলীগের জন্য দেয়া হয়েছে। কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গির মাঠকে দুভাগে ভাগ করা সম্ভব। দুটো আলাদা মসজিদ করা সম্ভব। যে যার-যার মতো করে ব্যবহার করুক।
তিনি আরও বলেন, ইসলামকে নিয়ে মারামারি, লোক হাসানো যাতে না হয় সেজন্য এ দুটো জায়গা ভাগ করে দেয়া উচিত। সমস্যা তৈরি না করে দু’দলের সমঝোতায় আসা উচিত।
মাওলানা সাদের বিরোধীরা বলছে, মসজিদ কিংবা ইজতেমা ময়দান ভাগ করার কোন প্রশ্নই উঠে না। এটা তো মৃত ব্যক্তির সন্তানদের সম্পত্তি ভাগ করার মতো কোনো বিষয় না। তাছাড়া সাদ অনুসারীরা মূল তাবলিগ জামাতে নেই। সেজন্য তারা কিছুই পাবেন না।
এবিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, আগামী এক মাস টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠ প্রশাসনের দখলে থাকবে। এই এক মাসের মধ্যে তাবলিগ জামাতের দু’পক্ষ সেখানে কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড করতে পারবে না।
মন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় ফৌজদারি মামলা হবে। তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের দু’গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। শনিবার সংঘর্ষের মধ্যে তা ব্যাপক আকার ধারণ করে।