নাটোরে ১০ বছর বয়সী শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গুম করার দায়ে মো. সোহাগ হোসেন (২৮) নামের এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মাইনুল হক এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালত কক্ষে আসামি উপস্থিত ছিলেন।
নাটোর শহরের উত্তর বড়গাছা জোলার পাড় এলাকার বাসিন্দা খলিলুর রহমানের ছেলে সোহাগ হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নাটোরের বনবেলঘরিয়া এলাকার মমিন হোসেনের মেয়ে মৌমিতা আক্তার (১০) ২০১৭ সালের ১০ জুলাই বিকালে তার বোন মৌসুমির বাড়িতে যায়। ওই দিন সন্ধ্যায় পাশের পাট ক্ষেতের আইলে মৌমিতার লাশ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে তার বাবা মমিন হোসেন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন।
পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মৌমিতার দুলাভাই সোহাগ বলেন, মৌমিতাকে ধর্ষণের সময় সে চিৎকার করে। তাকে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ পাট ক্ষেতে ফেলে রাখেন। পরে সোহাগ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলাটি বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যায়। ১৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি সোহাগকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
ঘটনার পর থেকে আসামি সোহাগ কারাগারেই ছিলেন। বুধবার রায় ঘোষণার পর সাজার পরোয়ানার বলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি শাহজাহান কবীর।
এই দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী।
টাইমস/এসআই