পুরান ঢাকার ওয়ারীতে বহুতল ভবনের ফাঁকা ফ্ল্যাটে সামিয়া আফরিন সায়মাকে(৭) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে এক যুবককে শনাক্ত করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ওই ভবনেই তার ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে থাকতেন সন্দেহভাজন যুবক।
ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান জানান, তদন্তের ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। আমরা অপরাধী চিহ্নিত করতে পেরেছি। হত্যাকারী একজনই। তদন্তের স্বার্থে আমরা বিস্তারিত এখন জানাচ্ছি না। আমরা খুব দ্রুত জানাব।
রোববার দুপুরে সামিয়ার বাবা আব্দুস সালাম বলেন, শুনেছি আমার মেয়ের হত্যাকারী শনাক্ত হয়েছে। হত্যাকারী অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। মামলার তদন্তের জন্য পুলিশ এখন নামপ্রকাশ করছে না।
ওয়ারীর বনগ্রামে বহুতল একটি ভবনের নয় তলার ফাঁকা ফ্ল্যাটে শুক্রবার রাতে সাত বছর বয়সী শিশুটির লাশ পাওয়া যায়। ওই ভবনের ষষ্ঠ তলায় শিশুটি পরিবারের সঙ্গে থাকত।
শিশুটির বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরের একজন ব্যবসায়ী। তার দুই ছেলে, দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ওই মেয়েটি একটি স্কুলে নার্সারিতে পড়ত।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নুরুল আমিন জানিয়েছেন।
শনিবার বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে সায়মার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করেন সোহেল মাহমুদ। তদন্ত শেষে সোহেল মাহমুদ জানান, বাহ্যিকভাবে শিশুটির গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার আলামত পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার ঠোঁটে কামড়ের চিহ্ন এবং যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে এ আলামত আমরা পেয়েছি। সোহেল মাহমুদ বলেন, এ ব্যাপারে আরও স্পষ্ট হতে হাই ভ্যাজাইনাল সোয়াবের জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সব নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। এসব প্রতিবেদন পাওয়া গেলে শিশুটির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
টাইমস/এসআই