ময়মনসিংহ ফুলপুর উপজেলার আলোকদী গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম (৫০)। ভূমিহীন সিরাজুল পেশায় একজন দিনমজুর।
টানা সাত বছর পরিবার নিয়ে ঢাকায় ছিলেন। পরিবারের সবাই অনেক পরিশ্রম করে টাকা জমিয়ে গ্রামের বাড়ি আলোকদীতে ৪ শতাংশ জমি কেনেন। সেখানেই ছোট্ট একটা টিনের ঘর করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন সিরাজুল। দুই ছেলেকে নিয়ে দিনমজুরি ও ইটভাটায় কাজ করে সংসার চলছিল তার।
প্রায় দুই মাস আগে হঠাৎ করেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন সিরাজুল। প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার দেখান। ব্যথা না কমায় পরবর্তীতে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে মহাখালীর একটি হাসপাতালে ডাক্তার দেখান। তার ফুসফুসে টিউমার ধরা পড়ে।
এই টিউমার ক্যান্সারের পর্যায়ে চলে গেছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় সিরাজুলকে।
এই পরীক্ষা করাতেই তার খরচ লাগবে ২২ হাজার টাকা। এত টাকা কোথায় পাবেন সিরাজুল? শেষ পর্যন্ত টাকার অভাবে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হন। চিকিৎসার অভাবে তিনি এখন ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর প্রহর গুণছেন।
সিরাজুলের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন জানান, তার স্বামীর চিকিৎসা করাতে কমপক্ষে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার লাগবে। স্বামীকে বাঁচাতে সমাজের সবার কাছে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। টাকার জোগাড় না হলে স্বামীকে বাঁচাতে পারবেন না তার পরিবার। আর এত টাকা ব্যবস্থা করার সামর্থ্যও নেই তাদের। এই কারণেই স্বামী সিরাজুল ইসলামের চিকিৎসার জন্য সমাজের মানুষের সাহায্যই একমাত্র ভরসা।
সাহায্য পাঠানো ও যোগাযোগের উপায়:
স্ত্রী সুফিয়া খাতুন
মোবাইল নম্বর: ০১৭০৭৫৩৮৪৮০
সতর্কতা: আমাদের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলামের জন্য সাহায্য চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন ৫ জুলাই। অনেকেই এই পোস্ট কপি করে নিজেদের মোবাইল নম্বর দিয়ে প্রতারণার করার চেষ্টা করেছে। তাই পাঠকদের কাছে অনুরোধ থাকবে উপরোল্লিখিত নম্বর ছাড়া অন্য কোনো ফোন নম্বরে যোগাযোগ করবেন না। তা না হলে প্রকৃত ভুক্তভোগীর কাছে টাকা পৌঁছাবে না। তিনি চিকিৎসাও করাতে পারবেন না।
টাইমস/এসআই