চট্টগ্রামে ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (ইউএসটিসি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের গায়ে কেরোসিন দেয়ার ঘটনায় চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান ইউএসটিসির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দিলীপ কুমার বড়ুয়া।
এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসানকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার এবং শেখ রাসেল শাহেন শাহ, মো. আলী হোসেন ও ময়নুল আলমকে এক বছর মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দিলীপ কুমার বলেন, অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদকে লাঞ্ছিত করা ও গায়ে কেরোসিন ঢালার ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছিল। কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ৮ জুলাই শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি সভায় চারজনকে চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
ইউএসটিসির প্রক্টর কাজী নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, শৃঙ্খলা কমিটি মাহমুদুলের ছাত্রত্ব বাতিল এবং চিরতরে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তবে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য সাতদিনের সময় দেওয়া হয়েছে। অপর তিনজনকে এক একাডেমিক শিক্ষাবর্ষ বহিষ্কার এবং বিধি মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে মাহমুদুলকে ঘটনার দিনই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দফায় রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত ২ জুলাই দুপুরে ইউএসটিসি একদল শিক্ষার্থীর হাতে লাঞ্ছিত হন ইংরেজির অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদ। ওই দিন ক্যাম্পাসের ভেতরে এই শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেওয়া হয়। পরে ওই শিক্ষার্থীরাই এই অধ্যাপকের পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়।
কয়েক বছর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেওয়ার পর ইউএসটিতে ইংরেজি বিভাগের উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন তিনি।
টাইমস/এইচইউ