পাহাড়ি ঢলে কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হাজারো মানুষ

সিলেটের ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ভেঙে দুই ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে।

এতে দুই উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের ৭০০-৮০০ পরিবারের হাজারো লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

জানা গেছে, ঢল আর ভারী বর্ষণে দুই উপজেলার অন্তত চারটি স্থানে কুশিয়ারা নদীরক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে এলাকার বিভিন্ন গ্রামের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে।

এই দুই উপজেলার একটি ইউনিয়ন সম্পূর্ণ এবং দুটি ইউনিয়ন আংশিক বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে এবং শনিবারের মধ্যেই বন্যা কবলিত লোকজনের জন্য ত্রাণ এসে পৌঁছাবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানি কুশিয়ারা নদী দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে চলছে।

ওসমানীনগর উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের কুশিয়ারা ডাইকের লামা তাজপুর গ্রামের ভিতরে কুশিয়ারা ডাইকের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামসমূহ প্লাবিত হচ্ছে।

সাদীপুর ইউনিয়নের লামা তাজপুর গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ হুমায়েল আহমদ জানান, লামা তাজপুর গ্রামে কুশিয়ারা ডাইকের একটি স্থানের উপর দিয়ে পানি ঢুকে বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত করছে। এতে সাদীপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে।

ওসমানীনগরের সাদীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুর রব জানান, উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ডাইকের নতুন একটি স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করায় ইউনিয়নের ৪০০-৫০০ পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পানিবন্দি রয়েছেন। বিভিন্ন বাড়ির উঠানে হাঁটু পর্যন্ত পানি উঠেছে।

বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব বলেন, বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পৈলনপুর ইউপি বন্যা কবলিত হয়েছে। পূর্ব গৌরীপুর ইউপির আংশিক বন্যা কবলিত রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। শনিবারের মধ্যেই ত্রাণ এসে পৌঁছবে।

ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, আমি বর্তমানে লামা তাজপুর অবস্থান করছি। কুশিয়ারা ডাইকের উপর দিয়ে যাওয়া পানির স্থানে বালু ভর্তি বস্তা দেওয়া হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি রয়েছে।

 

টাইমস/জেডটি

Share this news on: