মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ

রিফাত শরীফ হত্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এই মামলার প্রধান সাক্ষী রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে বরগুনা পুলিশ লাইন্সে নেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মাইঠা এলাকার বাড়ি থেকে মিন্নি ও তার মাকে পুলিশ লাইন্সে আনা হয়।

মিন্নি ও তার মাকে পুলিশ লাইন্সে গাড়িতে করে নিয়ে আসেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মিন্নি রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রত্যক্ষদর্শী এক নম্বর সাক্ষী। পুলিশ লাইন্সে এনে তাকে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে জবানবন্দি নেয়া হচ্ছে।

আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির গ্রেপ্তারের দাবিতে রোববার সকাল ১১টায় বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন হয়।

‘বরগুনার সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ। মানববন্ধনে রিফাতের বাবা ছাড়াও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও স্থানীয় সাংসদের ছেলে সুনাম দেবনাথ বক্তৃতা করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, রিফাত হত্যায় তার স্ত্রী মিন্নি জড়িত।

এর আগে গত শনিবার রাত আটটার দিকে রিফাতের বাবা বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মিন্নির গ্রেপ্তার দাবি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, এ হত্যার সঙ্গে মিন্নি জড়িত।

রোববার দুপুরে মিন্নি তার বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্য অভিযোগ করেন, যারা বরগুনায় ‘বন্ড ০০৭’ নামে সন্ত্রাসী গ্রুপ সৃষ্টি করিয়েছিলেন, তারা খুবই ক্ষমতাবান এবং অর্থবিত্তশালী। নেপথ্যের এই ক্ষমতাবানেরা বিচারের আওতা থেকে দূরে থাকা ও এই হত্যা মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য তার শ্বশুরকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছেন।

বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেন, মিন্নি এই মামলার এক নম্বর সাক্ষী। তাই তার জবানবন্দি নেয়ার জন্য তার স্বজনসহ পুলিশ লাইন্সে আনা হয়েছে।

রিফাত শরীফ হত্যার পর থেকেই মিন্নি ও তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য তাদের বাড়িতে পুলিশ প্রহরা বসানো হয়।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: