রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে চারজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে ।
বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটক চারজন হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ফাটাপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলাম, তার বন্ধু হরিসপুর গ্রামের এহসান আলী ও তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন। সেলিনার ৭ বছর বয়সী চাচাতো বোন মৌসুমি খাতুন।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, এহসানের সঙ্গে কিছুদিন ধরে বনিবনা না হওয়ায় তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন চর বাগডাঙ্গা গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকেন। তারা সবাই খারিজাগাতি কচিয়াপাড়া গ্রামে রবিউলের মামা মো. শামসুদ্দিনের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। এসময় সঙ্গে আনেন সেলিনার ৭ বছর বয়সী চাচাতো বোন মৌসুমি খাতুনকে। ফেরার পথেই তাদের সঙ্গে শিশু মৌসুমি খাতুনকে দেখে গ্রামবাসী ছেলেধরা ভেবে তাদের আটক করেন। এরপর রবিউল ও এহসানকে গামছা দিয়ে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাদের উদ্ধার করে আনে। এরপর তাদের গোদাগাড়ীর প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওসি আরও জানান, এটি ছেলেধরা নয়, ভুল বুঝাবুঝির একপর্যায়ে স্থানীয় জনগণ ছেলেধরা মনে করে পুলিশের কাছে দিয়েছে। তিনজনের পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসার পর সবাইকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
টাইমস/এইচইউ