ফ্রিজ ছাড়াই গোশত সংরক্ষণের উপায়

মুসলিমদের বড় ঈদ পবিত্র ঈদুল আজহা। এই দিনে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে একের পর এক পশু কোরবানি দেয়া হয়। কারবানির গোশত গরিব-দুস্থ আর স্বজনদের মাঝে বিলি করার পর যে পরিমাণ গোশত একবারে ঘরে তোলা হয়, তা বোধহয় সারা বছরেও হয় না।

ফলে কোরবানির গোশত সংরক্ষণ কঠিন হয়ে ওঠে। যাদের ফ্রিজ রয়েছে তাদের তেমন চিন্তা নেই। কিন্তু যাদের ফ্রিজের সুবিধা নেই তাদের জন্য গোশত সংরক্ষণ বেশ চিন্তার বিষয়।

যাদের ফ্রিজের সুবিধা নেই তাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ। ফ্রিজ ছাড়াও গোশত সংরক্ষণ করা যায় খুব সহজে। কিছু নিয়ম মেনে সংরক্ষণ করলে ৬ মাস পর্যন্ত গোশত ভালো রাখা যায়। আসুন জেনে নেই, ফ্রিজ ছাড়া গোশত সংরক্ষণ করার কিছু কৌশল-

জ্বাল দিয়ে সংরক্ষণ:

গোশত ভালোভাবে ধুয়ে পরিমাণ মতো হলুদ, লবণ মাখিয়ে পানি দিয়ে জ্বাল দিতে হবে। এই গোশত দিনে অন্তত দু'বার জ্বাল দিলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। এভাবে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে গোশতে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকলে গোশত অনেকদিন ভালো থাকবে। কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ দিন গোশত ভালো রাখতে পারবেন।

রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ:

এ প্রক্রিয়ায় গোশত শুকিয়ে ফেলার ফলে গোশতে কোনো পানি থাকে না। তাই গোশত দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। এ জন্য প্রথমে গোশত ছোট টুকরা করে কেটে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনো চর্বি না থাকে। এবার চিকন তারে গেঁথে গোশত টানা রোদে শুকাতে হবে।

ছাদে, বারান্দায় বা উঠানে গোশত শুকাতে দিলে পাতলা কাপড়ে পেঁচিয়ে গোশত শুকাতে দেয়া উচিত। এতে গোশতে ধুলা ময়লা পড়বে না। টানা পাঁচ থেকে ছয় দিন গোশত রোদে শুকাতে হবে। এতে গোশত থেকে সমস্ত পানি শুকিয়ে যাবে।

তবে রোদ না থাকলে এই পদ্ধতি অনুসরণ না করাই ভালো, কারণ ভালোভাবে না শুকালে গোশত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। রোদে শুকানো গোশত রান্নার আগে হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে গোশত নরম হবে।

গোশত ভেজে সংরক্ষণ :

গোশত ভেজে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। গোশতে লবণ আর হলুদ মিশিয়ে ডুবো তেলে ভেজে সংরক্ষণ করতে পারেন। এতে গোশত নষ্ট হবে না। অনেকেদিন ভালো থাকবে।

লবণ ও লেবুর রস দিয়ে সংরক্ষণ :

লবণ ও লেবু রস মাখিয়ে গোশত সংরক্ষণ করতে পারেন। গোশতের বড় বড় টুকরা ও কুচি গোশত কিমা করে তা সংরক্ষণ করতে পারেন।

সর্বোপরি, কোরবানির গোশত আগে সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করেন। তারপর নিজের অংশের গোশত সঠিকভাবে সংরক্ষণে সঠিকভাবে চেষ্টা করুন।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: