ড. কামালের দুঃখ প্রকাশ

অবশেষে দু:খ প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। শনিবার সকালে গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন বলেন, হঠাৎ করেই তার কাছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের অবস্থান নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সবিনয়ে জানান, এই দিনে এখানে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না। সাংবাদিক আবারো একই প্রশ্ন করলে তিনি একই মনোভাব প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, দুইবার এ বিষয়ে প্রশ্ন শুনতে না চাইলেও তৃতীয়বার ভিড়ের মধ্যে থেকে অনবরত ‘জামায়াত জামায়াত’ শব্দ শুনতে পাই। তখন আমার খুবই খারাপ লেগেছিল এবং আমি প্রশ্নকর্তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমার বক্তব্য কোনোভাবে কাউকে আহত বা বিব্রত করে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

ড. কামাল বলেন, আমি সারা জীবন সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে শামিল থেকেছি। আশা করি, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা তাদের জীবনের বিনিময়ে যে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা আমরা সবাই মিলে গড়তে সক্ষম হবো।

শুক্রবার সকালে মোহাম্মদপুরের শহীদ বেদীতে সাংবাদিকরা ড. কামালকে জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে একটি প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, শহীদ মিনারে এসব বিষয়ে কোনো কথা তিনি বলবেন না। একই প্রশ্ন আবার করা হলে ড. কামাল ক্ষেপে উঠে বলেন, প্রশ্নই ওঠে না। বেহুদা কথা বল। কত পয়সা পেয়েছ এই প্রশ্নগুলো করতে? কার কাছ থেকে পয়সা পেয়েছ? তোমার নাম কী? চিনে রাখব তোমাকে। চিনে রাখব। পয়সা পেয়ে শহীদ মিনারকে অশ্রদ্ধা কর তোমরা। আশ্চর্য!

পাশে থাকা দুই একজন নেতা এ সময় কামাল হোসেনকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আরেকজন সাংবাদিক এ সময় প্রশ্ন চালিয়ে গেলে ধমকে ওঠেন কামাল। তিনি বলেন, শহীদদের কথা চিন্তা কর। চুপ করো। চুপ করো। খামোশ। পরে তিনি হাঁপাতে হাঁপাতে প্রশ্ন করেন, আশ্চর্য! তোমার নাম কি?... কোন পত্রিকার?... টেলিভিশন, জেনে রাখলাম।

জোটের নেতাদের মধ্যে জেএসডির আসম আবদুর রব, গণফোরামের জগলুল হায়দার আফ্রিদি ও রেজা কিবরিয়া, বিএনপির আবদুস সালাম এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি জিডি করেছেন দৈনিক বাংলাদেশ সময়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক মিঠুন মোস্তাফিজ।

টাইমস/ কেআরএস

Share this news on: