কক্সবাজারে দুইটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে এনজিও ব্যুরো। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আয়োজিত সমাবেশ আয়োজনে ‘গোপন সহায়তা’ ও প্রত্যাবাসনবিরোধী উসকানির অভিযোগে তাদের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। এনজিও দুটির ব্যাংক লেনদেনও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল আফসার বলেন, আদ্রা ও আল মারকাজুল ইসলামীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের মাঝে প্রত্যাবাসনবিরোধী উসকানি এবং গত ২৫ অগাস্ট সমাবেশ আয়োজনে গোপন সহায়তা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণেই তাদের কার্যক্রম ও ব্যাংক লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এনজিও ব্যুরো।
২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসার দুই বছর পূর্তির দিনে হাজার হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজারের কুতুপালং মধুছড়া ক্যাম্পের শিবিরে সমাবেশ করে।
ওই সমাবেশে রোহিঙ্গাদের হাতে ধারালো অস্ত্র দেখা যায়। কক্সবাজারের উখিয়ার কোটবাজার এলাকায় একটি কামারের দোকান থেকে লোহার তৈরি ধারালো প্রায় সাড়ে ছয়শ’ সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
ওই ঘটনায় ‘মুক্তি কক্সবজার’ নামের এনজিওর ছয়টি প্রকল্প সাময়িকভাবে স্থগিত করে সরকার। এরপর ‘নানা অপকর্মে’ জড়িত থাকার অভিযোগে প্রায় অর্ধশত এনজিওকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার কাজ থেকে প্রত্যাহারের কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
এর আগে নানা অভিযোগে ইসলামিক রিলিফ, ইসলামিক এইড, মুসলিম এইড, স্মল কাইন্ডনেস বাংলাদেশ, বাংলাদেশ চাষী কল্যাণ সমিতি ও নমিজান আফতাবি ফাউন্ডেশন নামে ছয়টি এনজিও’র কার্যক্রম রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় নিষিদ্ধ করা হয়।
টাইমস/এসআই