রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বুধবার রাত নয়টার পর চান মিয়া হাউজিং এলাকার ২ নম্বর সড়কে মহসিন(১৪), তার বন্ধু রুবেলসহ কয়েকজন কিশোর মুঠোফোনে ছবি দেখছিল। একপর্যায়ে তাদের সমবয়সী একদল কিশোর ঘটনাস্থলে এসে চাপাতি নিয়ে হামলা চালায়। এতে মহসিন, রুবেলসহ তিনজন আহত হয়।
তাদের মধ্যে মহসিন ও রুবেলকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে মহসিনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। রুবেল ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মোহাম্মদপুরের কাটাসুরের চাইল্ড হেভেন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল নিহত মহসিন।
মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ জানায়, হামলাকারীরা চান মিয়া হাউজিং ও ঢাকা উদ্যান এলাকার কিশোর-তরুণ।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, বুধবার বিকালে মহসিন ও তার বন্ধু রুবেল তাদের এক মেয়েবন্ধুকে নিয়ে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় কাটাসুরের কয়েকজন কিশোর-তরুণ এসে আপত্তিকর মন্তব্য করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। মূলত এই ঘটনার জের ধরে রাতে মহসিনের ওপর হামলা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে নিহত মহসিনের বড় ভাই বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলার বাকি ১১ আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গণেশ গোপাল বিশ্বাস।
মহসিন খুনে জড়িতরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। আধিপত্য বিস্তার ও একটি মেয়েকে কেন্দ্র করে এই খুনের ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য পাওয়া গেছে বলে ওসি জানান।
টাইমস/এসআই