যেভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ১০ বছরের ফাতেমাকে

মেয়েটির নাম ফাতেমা আক্তার। বয়স ১০ বছর। চঞ্চল, মেধাবি। সে গান গাইতে ভালোবাসতো, খেলাধুলা মেতে থাকতে পছন্দ করতো, আর ছবি আঁকতে ভালোবাসতো। স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে শিক্ষক হবে। মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করবে। কিন্তু তা আর হয়নি।

গত ২২ আগস্ট বিকাল ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শাহপুর গ্রামের নানার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় ফাতেমা। নিখোঁজের আট দিন পর গত ৩০ আগস্ট তার নানার বাড়ি থেকে কয়েকশ’ গজ দূরে একটি নির্জন পুকুরের পাড় থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ফাতেমার দূর সম্পর্কের মামা আবু রায়হান(২১) নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশে কাছে দেয়া জবানবন্দিতে ফাতেমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে রায়হান।

যেভাবে নিখোঁজ হলো ফাতেমা

পারভীন আক্তার(৩৫) ও সৌদি আরব প্রবাসী আল-আমিন (৪০) দম্পতির ছোটে মেয়ে ফাতেমা। ফাতেমাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার শাহগদা গ্রামে হলেও সে তার মায়ের সঙ্গে শাহপুর নানার বাড়িতেই থাকত।

ফাতেমা এখন শুধুই স্মৃতি। মোবাইলে ফোনে আদরের মেয়ের ছবি দেখছেন মা পারভীন আক্তার

ফাতেমা নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে তার মা পারভীন আক্তার বাংলাদেশ টাইমসকে বলেন, ‘আমার তিন ছেলে-মেয়ের মধ্যে ফাতেমা ছিল সবার ছোট। ২২ আগস্ট ভোরে আমার ছোট মেয়ে ফাতেমা পাশের গ্রামে চতরংখোলা খাদিজাতুল কোবরা(রাঃ) মাদ্রাসার মক্তবে পড়তে যায়। সেখান থেকে পড়া শেষ করে সকাল আটটায় বাসায় আসে এবং খাওয়া-দাওয়া করে ক্লাসে যায়। ফাতেমা ওই মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ক্লাস শেষ করে দুপুর ২টার দিকে বাসায় আসে। আমার সঙ্গে গোসল করে এবং আমরা একসঙ্গে দুপুরের খাবার খাই।  এরপর মেয়ে পাশের বাড়িতে খেলতে চলে যায়। তখন আমার মেয়ের পরনে ছিল একটি হাফ প্যান্ট আর পায়ে ছিল বেগুনি রঙের বার্মিজ জুতা।’

ফাতেমা প্রতিদিন বিকাল ৪টার দিকে তার নানার বাড়ির পাশেই রিনা আক্তার নামে একজন নারীর কাছে প্রাইভেট পড়ে। তাই ফাতেমা ডাকতে যান তার মা পারভীন আক্তার।

তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে তখন সড়কের পাশে একটি বাড়ির গেইটে খেলছিল। ফাতেমাকে পৌনে চারটার দিকে দূর থেকেই ডাক দেই, ফাতেমা প্রাইভেট পড়তে আসো। তখন সে আর উত্তর নেয়নি। এর দুই মিনিট পর ঘরের দরজা দিয়ে ফাতেমা সেই গেইটের কাছে ডাকতে গিয়ে তাকে আর পাইনি। আমি ভেবেছিলাম ফাতেমা হয়তো কারো সঙ্গে খেলতে চলে গেছে।’

খালের ওপারে একটি বাড়ির গেইটে সর্বশেষ ফাতেমাকে খেলতে দেখেছিলেন। তাই ইশারায় দেখাচ্ছেন তার মা

‘আছরের নামাজের পরেও ফাতেমা ঘরে না আসায় খুঁজতে শুরু করি। আশাপাশের অনেক জায়গায় খুঁজেও ফাতেমাকে পাইনি। এদিকে মাগরিবের আজান দিয়ে ফেললেও মেয়ে আমার আর ঘরে ফিরে আসে না। মেয়ের জন্য আমার চিন্তা বাড়তে থাকে। ভয় হয় তাকে ছেলেধরা নিয়ে গেছে কিনা। তখন আমি কান্নাকাটি শুরু করে দেই। আমার কান্নাকাটি শুনের আশাপাশের সবাই ঝড়ো হয়ে যায়।’

পারভীন আক্তার বলেন, ‘আমার আত্মীয়-স্বজন সবাই আশাপাশের সব জায়গায় ফাতেমার খোঁজে নেমে পড়ে, মসজিদে মসজিদে মাইকিং শুরু করি। পুকুর, খাল সব জায়গায় তন্ন তন্ন করে খোঁজা হয়। আশেপাশের গ্রামেও খুঁজি। কিন্তু কোথাও ফাতেমার খোঁজ পাইনি।’

ফাতেমা হত্যায় অভিযুক্ত আবু রায়হানসহ তার পরিবারের লোকজনও ফাতেমাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে বলে জানান পারভীন আক্তার।

তিনি বলেন, ‘রায়হান আমার মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যা করতে পারে এটা কল্পনাও করিনি। তার মা-বাবাসহ সবাই আমার মেয়েকে খুঁজতে সহযোগিতা করে। এই কারণে তার পরিবারের দিকে আমার সন্দেহ যায়নি।’

নির্জন পুকুরের ঠিক এই জায়গাটিতে ফাতেমার লাশ পাওয়া যায়

৮ দিন পর যেভাবে লাশ উদ্ধার হয়

পারভীন আক্তার বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী আনারুলের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ৩০ আগস্ট দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে তাদের বাড়ির পূর্ব পাশে  হাঁস খুঁজতে যায়। সেখানে একটি নির্জন পুকুরের পাড়ে আমার মেয়ের অর্ধগলিত লাশ দেখতে পায়। লাশ দেখেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে তাহমিনা। আমরা খবর পেয়ে সেখানেই যাই ও লাশ শনাক্ত করি। পরে পুলিশ খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে আমাদের বাড়িতে আসে। পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।’

পুকুরের পাড়ে এখনো পড়ে রয়েছে ফাতেমার চুল

যেভাবে আসামি ধরা পড়ল

ফাতেমার মামি সুমি আক্তার বলেন, ‘লাশ পাওয়ার পরদিন আমি পুকুরে মাছ ধুইছিলাম। এসময় অভিযুক্ত আবু রায়হান এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করে ফাতেমা কে হত্যা করেছে তার কোনো হদিস পেয়েছে কিনা? আমি তাকে বলি, পুলিশ লাশ ময়নাতদন্ত করার পর আশেপাশের সবার আঙুলের ছাপ নেবে, তখনই বুঝা যাবে কে ফাতেমাকে হত্যা করেছে।’

সুমি আরও বলেন, ‘আমি এ কথা বলার পরই আবু রায়হান কবুতর বিক্রির কথা বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। ওই দিন সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। এরপরই আমাদের সন্দেহ হয় রায়হানের ওপর। তখন আমরা পুলিশকে এ বিষয়টি জানাই।’

পুলিশের সঙ্গে ফাতেমার ধর্ষণ ও হত্যায় অভিযুক্ত আসামি আবু রায়হান

নবীনগর থানা পুলিশ সূত্র জানায়, ছেলে নিখোঁজ হয়েছে এই মর্মে নবীনগর থানায় ১ সেপ্টেম্বর একটি জিডি করে আবু রায়হানের বাবা জামাল মিয়া। জিডি করার একদিন পর পুলিশ তদন্ত করতে আসে রায়হানদের বাড়িতে। সেই সময়ই রায়হান তার বাবা জামাল মিয়ার কাছে ফোন করে বলে, তাকে অপহরণ করে ময়মনসিংহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ রায়হানের ফোন করা নম্বরে ফোন করলে জানতে পারেন, রাজধানীর শনির আখড়ার একটি দোকান থেকে ফোন করেছে। রায়হান আশেপাশে আছে কিনা জানতে চাইলে দোকানদার বলেন, সে তো চলে গেছে। এরপর পুলিশ আবু রায়হানের ভাই রহমান মিয়াকে আটক করে নিয়ে যায়। পরদিন তার বাবা জামাল মিয়াকে আটক করা হয়। বাবা-ভাইকে গ্রেপ্তারের কথা শুনে ৩ সেপ্টেম্বর শাহপুর নিজের বাড়িতে ফেরত আসে রায়হান।

পুলিশ সূত্র আরও জানায়, ৩ সেপ্টেম্বর রাতে আবু রায়হানকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ফাতেমাকে ধর্ষণের পর হত্যার করার কথা স্বীকার করে রায়হান।

লাশ গুম করার সঙ্গে রায়হানে মা-বাবার জড়িত থাকার অভিযোগ

এই বিষয়ে ফাতেমার মা পারভীন আক্তার বলেন, ‘আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যার পর লাশ বাড়িতেই রাখে। আর এই বিষয়টি রায়হানের মা-বাবা জানতো। হত্যার কয়েক দিন পর সুযোগ বুঝে লাশটি নির্জন পুকুর পাড়ে ফেলে আসে।’

লাশ এত দিন বাড়িতে রাখলে তো গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার কথা- এই প্রশ্নের জবাবে পারভীন আক্তার বলেন, ‘লাশের গন্ধ যেন না ছড়ায় তার জন্য অ্যাসিড জাতীয় কোনো কিছু দিয়ে আমার মেয়ের শরীর ঝলসে দেয়া হয়েছিল। কারণ আট দিন পর যখন আমরা তার লাশ পাই তখন শুধু কোমরের নিচের অংশে মাংস লেগেছিল। শরীরের উপরিভাগের কোনো অংশে মাংস ছিল না। এমনকি ফাতেমার মাথার চুল পর্যন্ত লাশ থেকে একটু দূরে পাওয়া গেছে।’

নিজেদের ঘরের সামনে অভিযুক্ত আবু রায়হানের মা-বাবা

‘আমার ধারণা, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রায়হানের মা-বাবাও জড়িত। রায়হানের একার পক্ষে এভাবে লাশ ঘরে রাখা সম্ভব নয়’- বলেন পারভীন আক্তার।   

অটোবাইকের গ্যারেজ মালিক ও ফাতেমার আত্মীয় মো. আনারুল বলেন, ‘ফাতেমা নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর শনিবার দুপুরে চাঁই(মাছ ধরার ফাঁদ) পাততে আমি ওই পুকুর পাড়ে যাই। এই সময় অভিযুক্ত আবু রায়হান আমার সঙ্গে ছিল। যেখান থেকে ফাতেমার লাশ পাওয়া গেছে তার কাছাকাছি একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে সিগারেটও খাই। তার মানে ফাতেমা নিখোঁজের দুই দিন পর্যন্ত লাশ সেখানে ফেলা আসা হয়নি। এই দুই দিন লাশ অভিযুক্তের ঘরেই ছিল আমার ধারণা।’

খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে অস্বীকার রায়হানের মা-বাবার

আবু রায়হানের মা সুফিয়া বেগম দাবি করেন, ফাতেমাকে খুন বা ধর্ষণের সঙ্গে তার ছেলে বা তিনি কেউই জড়িত নন। তবে তার ছেলে কেন পুলিশের কাছে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তা তিনি বলতে পারেন না।

বাংলাদেশ টাইমসের প্রতিবেদকের কাছে তিনি বলেন, ‘আমরা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত নই। আল্লাহ ও আকাশ-বাতাস, চন্দ্র-সূর্য ছাড়া আমার কোনো সাক্ষী নাই। এখন মানুষ যদি বলে তাহলে আমাদের মেনে নেয়া ছাড়া উপায় কি? আমি মানলেও যেন আল্লাহ না মানে। এ ছাড়া আমি আর কি বলতে পারি?’

এ ব্যাপারে রায়হানের বাবা জামাল মিয়া বলেন, ‘আমরা কল্পনাও করতে পারি না এ ধরনের কাজ করার। আমার ছেলে করবে এটাও ভাবতে পারি না।’

তবে তাদের ছেলে যদি ফাতেমাকে ধর্ষণ ও হত্যা করে থাকে তাহলে ছেলের সর্বোচ্চ বিচার দাবি করেন তারা।

সুফিয়া বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে যদি দোষী হয় এর সর্বোচ্চ বিচার হোক। আর যদি নির্দোষ হয় তাহলে আমার সন্তান আমার বুকে ফিরিয়ে দিক।’

আবু রায়হানের বাবা জামাল মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলে যদি এই কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে তাহলে কড়া বিচার হোক। এমন কাজ কর এই ছেলের আমার দরকার নেই। তারে আদালত যত খুশি সাজা দিক আমার আপত্তি নেই।’

অভিযুক্ত আসামির এই বাড়ির ভেতরেই ফাতেমাকে ধর্ষণ ও লাশ রেখে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে

আসামির সর্বোচ্চ সাজা চায় ফাতেমার পরিবার ও এলাকাবাসী

আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে পারভীন আক্তার বলেন, ‘আমার এই মেয়ে অনেক আদরের ছিল। ঘুমালেও আমার গলা জড়িয়ে ঘুমাত।  তাকে যে নির্মমভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করেছে তার ফাঁসি চাই। আর আসামির সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদের কঠোর বিচার হোক।’

ফাতেমার নানা কামাল মিয়া বলেন, ‘এই ঘটনায় জড়িত আসামি আবু রায়হানের ফাঁসি চাই। আর ওর মা-বাবা এই ঘটনায় জড়িত থাকলে তাদেরও কঠোর শাস্তি চাই।’

ফাতেমা হত্যায় দোষীদের সাজা চেয়ে শাহপুরে মানববন্ধন

ফাতেমা ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি চেয়ে শনিবার সকালে আসামি আবু রায়হানের বাড়ির সামনে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ শাহপুর ও আশাপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজার খানেক মানুষ এই মানববন্ধনে অংশ নেয়।

 ফাতেমার হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নেয় হাজারো মানুষ 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা শাহপুর গ্রামের ইতিহাসে কখনো ঘটেনি। আমরা ফাতেমাকে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রত্যেকের ফাঁসি চাই।

এ ব্যাপারে রতনপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মারুফ বলেন, ‘আমরা এই ঘটনায় পুলিশের তদন্তে খুশি। আমরা স্থানীয় সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুল, সাবেক সাংসদ ফয়জুর রহমান বাদল ভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে গ্রামের সবাই ঐক্যবদ্ধ। এভাবে যদি আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করি তাহলে গ্রামে কখনোই এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। আমরা এ ঘটনার অধিকতর তদন্ত চাচ্ছি। প্রয়োজনে আসামিকে পুনরায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। এই বয়সের একটি ছেলের একার পক্ষে এত বড় অপরাধ করা সম্ভব নয়। তার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।’  

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এলাকার মানুষ

পুলিশের বক্তব্য

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রনোজিত রায় বলেন, ‘আসামি আবু রায়হান ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে ফাতেমা আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে। আসামি একাই এই হত্যাকাণ্ডে ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। তবে এ ঘটনায় আমাদের তদন্ত এখনো অব্যাহত আছে। অন্য কেউ যদি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই আমরা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘পেয়ারা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে আসামি আবু রায়হান ফাতেমাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটির বয়স অল্প হওয়ায় ধর্ষণের সময় চিৎকার শুরু করে। তখনই রায়হান ফাতেমাকে গলা চেপে ধরে হত্যা করে।’

ফাতেমার লাশ আসামির ঘরে রেখেছিল কিনা- এই প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘তা হতে পারে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত আমাদের তদন্ত চলবে।’

 

টাইমস/এসআই

 

 

 

 

 

 

 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদন : ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪০৭ Apr 20, 2024
img
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা Apr 20, 2024
img
মালয়েশিয়ায় শোষণের শিকার বাংলাদেশি শ্রমিকরা : জাতিসংঘ Apr 20, 2024
img
শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক ডিপজল Apr 20, 2024
img
তীব্র তাপপ্রবাহ : প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ Apr 20, 2024
img
সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি Apr 19, 2024
img
বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীদের তালিকায় আলিয়া Apr 19, 2024
img
পালিয়ে আসা ২৮৫ জনকে ফেরত নিচ্ছে মিয়ানমার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী Apr 19, 2024
img
গ্রেপ্তারি পরোয়ানার শঙ্কায় নেতানিয়াহু, ইসরায়েলে জরুরি বৈঠক Apr 19, 2024
img
পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ১১ বিজিপি সদস্য Apr 19, 2024