সিলেটে রিজার্ভ ইন্সপেক্টরের সঙ্গে কনস্টেবলের স্ত্রীর অনৈতিক ভিডিও, তদন্তে কমিটি

সিলেটে নিহত পুলিশ কনস্টেবল আশরাফুলের স্ত্রীর সাথে এসএমপি’র রিজার্ভ ইন্সপেক্টর গোবিন্দ শুক্ল দাসের অনৈতিক ভিডিও পাবার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার গোলাম কিবরিয়া চার সদস্যের ওই কমিটি গঠন করেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে উপ-পুলিশ কমিশনার তোফায়েল আহমেদকে। কমিটিকে সাত কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আলা মুসা। তবে বাকি সদস্যদের নাম বলতে রাজি হননি তিনি। কনস্টেবল আশরাফুল মৃত্যুর ১ মাস পর এই কমিটি গঠন করা হল।

এর আগে গত ১৮ আগস্ট গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে সিলেট কর্মস্থলে ফেরার পথে হবিগঞ্জের বাহুবলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান আশরাফুল। কিন্তু তার শরীরে কোনো আঘাত না থাকায় সন্দেহ হয় পরিবারের। পরে হাইওয়ে পুলিশ আশরাফুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি তার পরিবারের কাছে ফেরত দেয়।

এর আগে গত ১২ জুন রাতে কনস্টেবল আশরাফুলের স্ত্রী (সিলেট মেট্রোপলিটনের নারী কনস্টেবল) সঙ্গে রিজার্ভ ইন্সপেক্টর গোবিন্দ শুল্ক দাসের অনৈতিক সম্পর্কের অশ্লীল ভিডিও ধারণ করেন আশরাফুল নিজেই। পরে ইন্সপেক্টর গোবিন্দ শুল্ক দাসকে বেধড়ক মারধর করেন আশরাফুল। ভিডিও থেকে যায় তার মোবাইলে।

মোবাইলে থাকা তিনটি ভিডিও ক্লিপ আশরাফুলের মৃত্যু সড়ক দুর্ঘটনা না হত্যা- এ নিয়ে সন্দেহ হয় পরিবারের কাছে। যে ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় ইন্সপেক্টর গোবিন্দ শুল্ক দাসের সঙ্গে আশরাফুলের স্ত্রীর ভিডিও এবং ইন্সপেক্টর গোবিন্দকে বেঁধে রাখার বিষয়।

আশরাফুলের বড় ভাই মনিরুল ইসলাম এবং তার চাচাতো ভাই শফিকুল ইসলাম গত ৪ সেপ্টেম্বর ৩টি ভিডিও ক্লিপ এসএমপি পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়ার হাতে তুলে দেন এবং তাদের সন্দেহের কথা জানান।

এ নিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর সংবাদপত্রে প্রতিবেদন ছাপা হলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা শুরু করে এসএমপি। সেদিনই আশরাফুলের সড়ক দুর্ঘটনার মামলা তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: