সাতকানিয়ায় হত্যার পর শিশুকে মাটিচাপা, চাচা-চাচি গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এক বছর বয়সী এক শিশুকে গলাটিপে হত্যার পর মাটিচাপা দিয়ে মৃতদেহ গুম করার চেষ্টার অভিযোগে চাচা-চাচিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ছয় ঘণ্টা পর মাটি খুঁড়ে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার চরতি ইউনিয়নের সুঁইপুরা গ্রাম থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত শিশু ছামীম ওই গ্রামের দুবাই প্রবাসী মো. মামুনের ছেলে। তার মা রীনা আক্তার গৃহিনী।

পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে আপন চাচি শিশুটিকে খুন করে মাটিচাপা দেয়।

সাতকানিয়া থানার ওসি মো. শফিউল কবীর জানান, বছরখানেক আগে দুবাই থেকে মামুন লাখ খানেক টাকা তার ভাই নুরুল আবছারের কাছে পাঠান। ওই টাকা মামুনের স্ত্রী রীনাকে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই টাকা না দিয়ে আবছার তিনমাস ধরে রীনাকে হয়রানি করতে থাকেন। রীনা বিষয়টি মামুনকে জানালে তিনি দুবাই থেকে দেশে ফেরেন। মামুনও তাগাদা দিয়ে সেই টাকা উদ্ধার করতে পারেননি। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং তারা আলাদা হয়ে যান।

ওসি বলেন, ছয় মাস আগে মামুন আবারও দুবাই চলে যান। কিন্তু দুই ভাইয়ের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হচ্ছিল। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে রীনা তার ছেলেকে শ্বাশুড়ির হেফাজতে রেখে গরুর জন্য ঘাস কাটতে যান। এর ফাঁকে শ্বাশুড়ির অগোচরে ছামীমকে নিজের ঘরে নিয়ে আবছারের স্ত্রী মারুফা তাকে গলাটিপে খুন করে। পরে শিশুটির মৃতদেহ বাড়ির নলকূপ সংলগ্ন নরম মাটিতে চাপা দেন।

ওসি আরও জানান, রীনা ঘাস নিয়ে ফেরার পর ছেলেকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। জানাজানি হলে প্রতিবেশিরাও খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে নলকূপের পাশে নরম মাটি দেখে তাদের সন্দেহ হয়। সেই মাটি অল্প খুঁড়ে প্রথমে তার হাত দেখা যায়। পরে ছামীমের মৃতদেহ উদ্ধার করেন তারা।

এ ঘটনায় রীনা আক্তার বাদি হয়ে অভিযুক্ত মারুফা ও তার স্বামী আবছারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেন বলে জানান ওসি।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: