খালি পায়ে হেঁটে স্কুলে গিয়েছি: তোফায়েল আহমেদ

‘আমার গ্রামের অনেক পরিবার আমাদের চেয়ে অনেক সচ্ছল ছিল। আমি খালি পায়ে হেঁটে স্কুলে গিয়েছি, মানুষের বাসায় লজিং থেকে পড়ালেখা করেছি। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ঠিকমতো বাবা খরচ চালাতে পারেননি। আজ যারা পড়া-লেখা করছে, তাদের অনেক খরচ দিতে হয়।’

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও ভোলা সদর আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ নিজের জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এসব কথা বলেন। বুধবার দুপুরে ভোলা সদরের দক্ষিণ দিঘলদীর কোড়ালিয়া গ্রামের নিজ বাসভবনে মায়ের মৃত্যু দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমি কখনও কারও সঙ্গে বেইমানি করিনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দেশের মানুষের সেবা করে যেতে চাই।

নিজ এলাকার উন্নয়ন বিষয়ে তিনি বলেন, এই গ্রাম একদিন অন্ধকারে ছিল। রাস্তাঘাট, কালভার্ট, বিদ্যুৎ, পুল, ব্রিজ, স্কুল-কলেজ বলতে কিছুই ছিল না। আমি এখানে সবকিছুই করে দিয়েছি। আমার এলাকার মানুষ সবাই এক ও অভিন্ন।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, অনেককে চাকরি, ব্যবসাসহ নানাভাবে সহাযোগিতা করেছি। আজ তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে আছে। আমার একটি ফাউন্ডেশন আছে। মসজিদ, স্কুল, কলেজ, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, স্বাধীনতা জাদুঘরসহ আমার যা কিছু আছে সবকিছুই ফাউন্ডেশনের নামে লিখে দিয়ে যাব।

বাবা-মায়ের জন্য দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, আমার মায়ের দোয়ায় আল্লাহ আমার সব আশা-আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করেছেন। আমি জীবনে বহুবার এমপি নির্বাচিত হয়েছি, কয়েক বার মন্ত্রী হয়ে দায়িত্ব পালন করেছি। আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন ইজ্জত ও ইমানের সঙ্গে মৃত্যুবরণ করতে পারি সেজন্যও দোয়া করবেন।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: