সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীসহ দুজনের বিরুদ্ধে সরকারের ৪০ লাখ ৬৯ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অপরাধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চার্জশিটভুক্ত অপর আসামির নাম বেগম জাহানারা রশিদ।
বৃহস্পতিবার কমিশন সভায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয়।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে দরপত্র বিজ্ঞপ্তি ছাড়া বেআইনিভাবে বাংলাদেশ জুট কর্পোরেশনের (বিজেসি) জমি বিক্রি করেন। এতে সরকারের ৪০ লাখ ৬৯ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়।
অভিযোগে জানা যায়, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী মন্ত্রী হিসেবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যক্তিস্বার্থে ২০১০ সালের ১১ মে থেকে ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ জুট কর্পোরেশনের (বিজেসি) আওতাধীন সরকারি সম্পত্তি বিক্রির জন্য নীতিমালা ভঙ্গ করে উন্মুক্ত দরপত্র বিজ্ঞপ্তি ছাড়া এককভাবে সিদ্ধান্ত নেন। তার একক সিদ্ধান্তে কমপক্ষে ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা মূল্যের সরকারি সম্পত্তি অপর আসামি বেগম জাহানারা রশিদের কাছে বেআইনিভাবে ২৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক আরও জানতে পারে, বেগম জাহানারা রশিদ বাংলাদেশ জুট কর্পোরেশনের সুরুজমল আগরওয়ালায় (রানী নগর ক্রয় কেন্দ্র) ২ দশমিক ৩৮ একর সরকারি সম্পত্তি স্থায়ীভাবে বরাদ্দ গ্রহণের জন্য মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন।
এ বিষয়ে দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর আদমদীঘি (বগুড়া) থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে তিনি দুজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়ার সুপারিশ করেন।
টাইমস/এইচইউ