ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি ২২ ফেব্রুয়ারি

সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের মিলনায়তনে আগামী শুক্রবার গণশুনানির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

ঢাকার কোথাও মিলনায়তনের অনুমতি না পেয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পর ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে।

বৈঠক শেষে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের গণশুনানি ছিল ২৪ তারিখ। এটি আগামী ২২ তারিখ শুক্রবার হবে।

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে এই গণশুনানি সকাল ১০টায় শুরু হবে এবং বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে। এটাই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

গণশুনানির তারিখ কেন এগিয়ে আনা হলো জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, কোথাও জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না। যেহেতু আমরা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনটি পেয়েছি ২২ তারিখ। সে জন্য গণশুনানির তারিখ এগিয়ে আনা হয়েছে।

গণশুনানির বিষয়ে তিনি বলেন, সংবিধানে লেখা আছে, জনগণ ক্ষমতার মালিক। সেদিন জনগণ জানতে পারবে একাদশ নির্বাচনে কী ঘটেছিল, তার বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রার্থীরা তুলে ধরবেন।

গণশুনানিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি, গণফোরাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, নাগরিক ঐক্য ছাড়াও বাম ও গণতান্ত্রিক যেসব দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানান আ স ম আবদুর রব।

নিবন্ধন বাতিল হওয়া সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর ২২ জন প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছে তাদেরকে এই গণশুনানি আমন্ত্রণ জানানো হবে কিনা- এই প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘এগুলো আমার জানা নেই।’

বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব ড. আবদুল মঈন খান, আবদুস সালাম, জেএসডির আসম আবদুর রব, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, জগলুল হায়দার আফ্রিক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহিদুল্লাহ কায়সার, বিকল্পধারার অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

টাইমস/জেডটি

Share this news on: