ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় ঢাকায় দেবী শেঠি

জটিল হৃদরোগে আক্রান্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় ঢাকায় পৌঁছেছেন প্রখ্যাত হৃদরোগ চিকিৎসক ডা. দেবীশেঠি।

সোমবার বেলা পৌনে ১টার দিকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের প্রিভেনটিভ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ সোমবার দুপুরে শাহজালাল বিমানবন্দরে ডা. শেঠীকে স্বাগত জানান।

পরে বিমানবন্দর থেকে তিনি হোটেল সোনারগাঁয়ে আসেন। সেখান থেকে বেলা ১টা ৩০ মিনিটে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) যান।

এর আগে সোমবার বেলা ১২টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার নামার কথা থাকলেও তার আসতে ১ ঘণ্টা দেরি হয়।

ভারতের নারায়ণ ইন্সটিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সেসের প্রতিষ্ঠাতা ডা. দেবী শেঠীর ১৫ হাজারের বেশি অস্ত্রোপচার করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। স্বল্প খরচে হৃদরোগের চিকিৎসা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে আলোচিত এই চিকিৎসককে ২০১২ সালে পদ্মভূষণ খেতাবে ভূষিত করে ভারত সরকার।

রোববার সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে এনজিওগ্রামে তার হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে।

এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করার পর কাদেরের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও পরে আবার অবনতির দিকে যায়। চিকিৎসকরা তখন কৃত্রিমভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেন।

তখন থেকেই ৬৭ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদকে ক্রিটিক্যাল করোনারি কেয়ার ইউনিটে কৃত্রিমভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস দেওয়া হচ্ছে তাকে।

এদিকে ওবায়দুল কাদেরের অসুস্থতা খবরে ওই দিন বিকেলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল ও বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক নেতাকর্মী কাদেরকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান।

অন্যদিকে, রোববার রাত পৌনে ৮টায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার জন্য চার সদস্যের মেডিকেল টিম সিঙ্গাপুর থেকে এসে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে প্রবেশ করে। এর পর থেকে তাদের তত্ত্বাবধানে কাদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: