পুনরায় ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ(ডাকসু) নির্বাচনে অনিয়ম ও ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে বাম জোট, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দুই জোটসহ ভোট বর্জনকারী প্যানেলগুলো পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। তাছাড়া মঙ্গলবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন তারা।

ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সকালে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ করেছে। ‘সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে টিএসসিতে সমাবেশ করেছে স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রার্থী-সমর্থকদের একাংশ। ‘জালিয়াতির নির্বাচন মানি না, মানব না’ স্লোগান দেওয়া হচ্ছে সেখানে।

ডাকসু নির্বাচনের পরদিন ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারেই কম। খুব একটা গাড়ি চলাচলও করছে না। বেলা ১১টায় কলা ভবনে গিয়ে দেখা যায়, কোনো কক্ষে ক্লাস হচ্ছে না। অনেক ক্লাসরুম বন্ধ, শিক্ষকরাও নেই। কিছু ‍শিক্ষার্থী বিভিন্ন জায়গায় জড়ো হয়ে আড্ডা দিচ্ছেন।

ভিসির বাসভবনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে অবস্থান নিয়ে আছেন পুলিশ সদস্যরা। সব মিলিয়ে খানিকটা থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়।

দীর্ঘ ২৮ বছর ১০ মাস পর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের উৎসাহ ও আনন্দ ভোটের দিনে বেশ কিছু অনিয়মের কারণে অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ বাদে প্রায় সব প্যানেল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। ফল ঘোষণা নিয়েও গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষায় রাখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার রাত সোয়া তিনটায় ঘোষিত ফলে দেখা যায়, ভোট বর্জন করেও সহসভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচিত হয়েছেন নুরুল হক। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রলীগের গোলাম রাব্বানী। সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) হয়েছেন সাদ্দাম হোসেন। ডাকসুর মোট ২৫টি পদের মধ্যে ২৩ টিতেই ছাত্রলীগের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

১৮টি হল সংসদের মধ্যে ১২ টিতে ভিপি পদে জয়ী হয়েছে ছাত্রলীগ। বাকি ছয়টি হলে ভিপি পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ছাত্রদের হলে ছাত্রলীগ প্রায় একচেটিয়া জয় পেলেও ছাত্রীদের পাঁচটি হলের মধ্যে চারটিতেই হেরেছে তারা।

 

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: