‘খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপি অপরাজনীতি করছে’

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে আসছে, আর বিএনপি এ নিয়ে অপরাজনীতি করে চলেছে। সরকার তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে সব সময় সচেষ্ট। কিন্তু বিএনপি নেতারা বলছেন যে, খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন। খালেদা জিয়া বিএনপির নেতাদের বক্তব্য জানতে পারলে নিশ্চয়ই উষ্মা প্রকাশ করবেন যে, তোমরা আমাকে মেরে ফেলছ কেন?

রোববার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক যে সব সমস্যার কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো আগের সমস্যা। তার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে । এ সব সমস্যা নিয়েই তিনি দু’বার দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন, বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। বিএনপির মতো একটি বড় দলের তিনি চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেছেন। এই সমস্যাগুলো মাঝে মধ্যে বাড়ে-কমে। সুতরাং এগুলো নতুন কোনো সমস্যা না। তাছাড়া কয়েক দিন আগে জিহ্বায় কামড় লেগে একটু ক্ষত সৃষ্টি হওয়ায় তিনি স্বাভাবিকভাবে খেতে পারছিলেন না। এমন মাঝে মধ্যে আমাদেরও হয়। তার সেই সমস্যাও কেটে গেছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া যখন পুরোনো ঢাকা কারাগারে ছিলেন তখন তার জন্য সার্বক্ষণিক একজন নার্স, একজন ফিজিওথেরাপিস্ট এবং একজন ডাক্তার ছিল তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। এ ছাড়া তার পছন্দের গৃহপরিচারিকাও সঙ্গে ছিল, যা উপমহাদেশে অন্য কারও জন্য হয়েছে কি না আমার জানা নাই। এ ছাড়া তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকেরা সময়ে সময়ে তার সঙ্গে দেখা করে চিকিৎসা দিচ্ছেন।’

ড. কামাল হোসেনের বিরোধীদলীয় ঐক্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন সাহেব যে ঐক্যফ্রন্ট করেছিলেন, সেই ঐক্যফ্রন্টে তো ঐক্য নাই। অনেকেই বেরিয়ে গেছে। নিজেদের ঐক্যতো ধরে রাখতে পারেন নাই। উনি শুধু বলতেই পারবেন, এর বেশি কিছু করতে পারবেন বলে মনে হয় না।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আজহারুল হক সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি শাহজালাল, সাধারণ সম্পাদক এম,জি, কিবরিয়া চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. শাহজাহান আলী, রফিক উল্লাহ সিকদার, যুগ্ম সম্পাদক, শেখ মঞ্জুর বারী মঞ্জু, সদস্য মোঃ তাজুল ইসলাম, নীতিশ সাহা, এম এ জলিল, কাজী আনোয়ার কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

টাইমস/এসআই

 

 

Share this news on: