২১ আগস্টের ঘটনায় বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে জড়ানোর অভিযোগে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যেকোনো সরকারের আমলে কখনো কখনো অনাকাঙ্ক্ষিত এমন কিছু ঘটনা ঘটে যার জন্য সেই সরকার দায়ী হতে পারে না। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বহুমুখী চক্রান্তকারীদের এজেন্টরা দেশে-দেশে নানা নাশকতা করেছে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন রিজভী। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘কেবল প্রধানমন্ত্রী বা ক্ষমতাসীন দলের নেতারাই নন, দু-একটি পত্রিকা ও সরকারি নেতাদের মালিকানাধীন টেলিভিশনে ইনিয়ে-বিনিয়ে বেসামাল ভাষায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ওপর দোষ চাপাতে অক্লান্ত চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য, প্রকৃত ঘটনা এভাবে মিথ্যাচার আর অপপ্রচারের মাধ্যমে জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করা যাবে না।’
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। এতে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। গ্রেনেডের স্প্লিন্টার লেগে চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী। ওই হামলায় প্রাণে বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার শ্রবণেন্দ্রিয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।
এ মামলায় রায়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন ও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সুপরিকল্পিত নীলনকশা অনুযায়ী এই ঘটনাকে ন্যক্কারজনক কায়দায় সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করে আসছে আওয়ামী লীগ। তার বড় প্রমাণ হলো কথিত সম্পূরক চার্জশিটের নামে এই মামলায় তারেক রহমানকে জড়িয়ে ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেয়া। যা ছিল সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, গভীর ষড়যন্ত্রমূলক ও দীর্ঘদিনের মাস্টারপ্ল্যানের ফসল।’
টাইমস/এসআই