এবার রাব্বানীর বিরুদ্ধে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ জবি ছাত্রলীগ নেতার

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল।

গত শুক্রবার শেখ রাসেল এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, তার কমিটি টিকিয়ে রাখার বিনিময়ে তার কাছে অর্থ চেয়েছিলেন রাব্বানী।

সংঘর্ষের জের ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটি বিলোপের প্রায় সাত মাস পর শেখ রাসেল কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাব্বানীর বিরুদ্ধে অর্থ দাবির অভিযোগ তুলেছেন, যখন আরও অভিযোগ আসছে রাব্বানীর বিরুদ্ধে।

এদিকে রাব্বানী এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘অদৃশ্য সিন্ডিকেট’র পরামর্শে তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন এই অভিযোগ করা হয়েছে।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সম্পাদক শেখ রাসেলের সমর্থকদের সংঘর্ষের পর ওই দিনই কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ১৯ ফেব্রুয়ারি বিলুপ্ত করা হয় এ কমিটি।

শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল

শেখ রাসেল বাংলাদেশ টাইমসকে বলেন, ‘সংঘর্ষের পর সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও আমি কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করতে রাব্বানীকে অনুরোধ করেছিলাম। তখন তিনি (রাব্বানী) বলছিলেন, এর আগে সোহাগ ভাই-নাজমুল ভাই ছিল, তাদের বিভিন্নভাবে সুবিধা দিত শরীফ-সিরাজ (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সম্পাদক)।’

‘তোরা তো আমাকে কিছুই দিস না। তোরা মাসে কত দিতে পারবি বল, তাহলে দেখি কমিটি ঠিক করা যায় কিভাবে?’ ‘এই শর্তে রাজি হইনি বলে কমিটি বাতিল করা হয়েছে,’ বলে দাবি করেন তিনি।

কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস স্থাপন প্রকল্প নিয়েও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কমিটির নেতারা নাখোশ ছিলেন বলে দাবি করছেন রাসেল।

‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প আছে, তারা যখন দেখছে আমরা তাদের মতো চলছি না। তখন তারা বুঝছে আমরা থাকলে প্রকল্প থেকে ওরা কিছু পাবে না।’

রাসেল দাবি করে বলেন, ‘এই দুই কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে এসব বিষয়ে বিভিন্ন প্রমাণ জমা দিয়েছি আমরা।’

গত ২২ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলন হওয়ার পর দেড় মাসেও কমিটি ঘোষণা না করার সমালোচনা করেন তিনি।

রাসেলের অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে গোলাম রাব্বানী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মারামারিতে ২০-২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছিল। এই ঘটনায় তিন সাংবাদিকও আহত হয়েছিল।

‘এছাড়া জগন্নাথ  ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নানা অপকর্মে লিপ্ত হওয়ার খবর পেয়ে প্রথমে আমরা কমিটির সকল কার্যক্রম স্থগিত করি। পুনরায় তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্যার, ছাত্রলীগের দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক ভাই, আব্দুর রহমান ভাই, বাহাউদ্দিন নাছিম ভাই ও বিএম মোজাম্মেল ভাইয়ের পরামর্শে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করি।’

রাব্বানী বলেন, 'এখানে জগন্নাথের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কমিটি বাঁচানোর বিষয়ে কথা বলার প্রশ্নই উঠে না। অনেক তদবির করে কমিটি টিকিয়ে না রাখতে পেরে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা তো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নিয়ে সব সময়ই ফেইসবুকে নানা বিরূপ মন্তব্য করে যাচ্ছে। এখন ছাত্রলীগের অদৃশ্য সিন্ডিকেটের পরামর্শে নতুন অভিযোগ দাঁড় করিয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, যার কোনো ভিত্তি নেই।’

 

টাইমস/টিআর/এসআই

 
 

Share this news on: