ছাত্রলীগ নেতা নির্বাচিত করার জন্য অভিনব উপায় বেছে নিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। নিজের নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) এর কয়েকটি ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতে পদপ্রত্যাশীদের জন্য তিনি চালু করেছেন ভিন্ন একটি উপায়।
ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসতে ইচ্ছুক এমন ছাত্রদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের লেখা দুইটি বই ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ভালো করে পড়তে হবে। তারপর তাদের ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ঊত্তীর্ণ হতে হবে। এখানেই শেষ নয় পরীক্ষায় ঊত্তীর্ণদের আবার মৌখিক পরীক্ষাও নেয়া হবে।
জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার মেয়াদোত্তীর্ণ ধরখার, মনিয়ন্দ ও মোগড়া ইউনিয়নসহ কয়েকটি ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছে। এখনও সম্মেলনের দিন-তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। তবে আইনমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন-আদর্শ সম্পর্কে ভালো করে জেনে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসতে হবে। এ জন্য ওই ইউনিয়নগুলোতে পদ প্রত্যাশীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী। উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাদের মাধ্যমে মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বই পড়া শুরু করেছেন পদপ্রত্যাশীরা। ওই দুইটি বই থেকেই পরীক্ষায় প্রশ্ন আসবে বলে পদপ্রত্যাশীদের জানানো হয়েছে। মন্ত্রী আনিসুল হকের উপস্থিতিতেই পরীক্ষা নেয়া হবে।
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার পর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকেই নেতা নির্বাচিত করা হবে। পাঁচটি ইউনিয়ন ও জংশন শাখা সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে সভাপতি ও সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪০টি ফরম বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে।
‘আমরা সৃজনশীল পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষা নেব। পাশাপাশি মৌখিকও নেয়া হবে। সব মিলিয়ে ৬০ নম্বরের পরীক্ষা হতে পারে’- বলেন আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহবুদ্দিন বেগ শাপলু।
কেন এই ধরনের পরীক্ষা- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেকেই বঙ্গবন্ধুর জীবন-আদর্শ সম্পর্কে জানে না। নেতা নির্বাচনের জন্য পরীক্ষার মাধ্যমে তারা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারবেন-শিখতে পারবেন।’
টাইমস/এসআই