যুবকের কান কেটে নিল আ. লীগ নেতার ছেলে

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সোহাগ সরদার (২৭) নামে এক যুবককে মারধর করে কান কেটে নিয়েছে উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতার এক ছেলে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ বলছে, পূর্ববিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার বিকাল সাড়ে চারটায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলার শ্রীরামকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোহাগ সরদার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার শ্রীরামকান্দি গ্রামের শওকত সরদারের ছেলে। অভিযুক্ত ব্যক্তি রাজিব শেখ (২৮) উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শেখ শুকুর আহম্মেদের ছেলে। রাজিবও শ্রীরামকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।

সোহাগের মা কোহিনুর বেগমের ভাষ্য, রাজিব দীর্ঘদিন ধরে তার ছেলের স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। সে জের ধরে তার ছেলেকে হত্যার জন্য এ হামলা চালানো হয়।

রাজিবের বাবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শেখ শুকুর আহম্মেদের দাবি, সোহাগদের সঙ্গে তাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে। তা ছাড়া কিছুদিন আগে সোহাগ রাজিবের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। এ জন্য এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় কোহিনুর বেগম বাদী হয়ে টুঙ্গিপাড়া থানায় রাজিব শেখসহ আটজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পুলিশ মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার বিকাল চারটায় সোহাগ সরদার ঢাকা যাওয়ার জন্য পাটগাতী বাসস্ট্যান্ডের বাস কাউন্টারে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ওই সময় রাজিব ও তার আট-নয়জন সহযোগী পেছন থেকে এসে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে সোহাগ সরদারকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এতে সোহাগ গুরুতর আহত হন। পরে হামলাকারীরা সোহাগের বাঁ কান কেটে পলিথিন ব্যাগে করে নিয়ে উল্লাস করতে করতে চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে সোহাগকে প্রথমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। তবে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম এনামুল কবীর।

টাইমস/এসআই