দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিতে আন্দোলনের ওপর জোর দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, শারীরিকভাবে দুর্বল থাকলেও খালেদা জিয়া মানসিকভাবে সবল এবং তিনি মাথা নত করার ব্যক্তি নন। কারণ খালেদা জিয়ার একটি নাম আছে মা-বাবার দেয়া ‘পুতুল’। এটি মাটির পুতুল নয় যে আছাড় দিলাম। এই পুতুল প্রতিবাদ করতে জানে, এই পুতুল কথা বলতে জানে। এই পুতুলের কথা বন্ধ করতে পারবে না।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি দাবিতে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। শিশু-কিশোর মেলা এ সভার আয়োজন করে।
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে দেখে এসে বিএনপির সাত সংসদ সদস্য তার জামিনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তারা এটাও বলেন যে মুক্তি পেলে খালেদা জিয়া বিদেশে যাবেন।
ওই সাংসদদের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা অনেকে গুজবের দিকে ছুটছি। আবার অতি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের কিছু কিছু নেতৃবৃন্দ ইতোমধ্যে ম্যাডামের সাথে হাসপাতালে দেখা করছেন। উনাদেরকে নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলে। উনারা যে খুব বেশি আন্তরিক ম্যাডামের মুক্তির জন্য, সেটা আমাদের সামনে এবং জনগণের সামনে আশ্বস্ত করার জন্য একটা জিনিস তারা ভালো করছেন। সেটা হলো- ম্যাডামের যে আপসহীন উপাধিটা আছে- এটা খারিজ করতে গিয়ে ধরা খাইছেন।’
‘আমি মনে করি গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপসহীন। তাকে অনুকম্পা করতে পারে, এমন যোগ্যতা বাংলাদেশে কারও আছে বলে মনে হয় না।’
তিনি বলেন, ‘আজকে পত্রিকায় ওবায়দুল কাদের বা অন্যান্যদের কথা দেখলাম; সেই কথাগুলোতে বোঝা যায়, আদালত কতটুকু নিয়ন্ত্রিত। প্রতিদিন কত মামলার রায় হয়, খালেদা জিয়ার মামলার রায় হয় না, বিব্রত বোধ করেন।’
‘আমরা চেষ্টা করব, গণতন্ত্রের নেত্রীর মুক্তি আন্দোলন আমরা করব এবং করছি যতটুকুই করছি। আরও যতটুকু যৌক্তিক করা দরকার, সেটা করব। সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বেগম জিয়া মুক্তি লাভ করবেন।’
ক্যাসিনো বন্ধে অভিযান নিয়ে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আগে বায়তুল মোকাররমের আশে-পাশে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দেখতাম বানর নাচায়। ওই বানরটা নাচায় লোক সমবেত করতে। তারপরে সব ভেজাল ওষুধ, এটা-সেটা বিক্রি করে। বর্তমান সরকার এমন একটা বানর নাচানোর ব্যবস্থা করেছে, যাতে মানুষ সেদিকে আকৃষ্ট থাকে, আর উনারা যে অপকর্ম করছে সেই অপকর্ম যেন নির্দ্বিধায় করতে পারে। এর বাইরে আমার অন্য কিছু মনে হয় না।’
আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছড়াকার আবু সালেহ, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, শিশু-কিশোর মেলার সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদার বক্তব্য রাখেন।
টাইমস/এসআই