টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আইসিসির তদন্তের ঘটনায় চারদিকে তোলপাড়। অভিযোগ উঠেছে জুয়াড়িদের কাছে প্রস্তাব পেয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন, অথচ আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে (আইসিসি) বিষয়টা জানাননি সাকিব। বিষয়টি নিয়ে আইসিসি তদন্ত করছে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আনুষ্ঠানিক কিছু জানায়নি। এ বিষয়ে মঙ্গলবারের মধ্যে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তবে যাই ঘটুক, সাকিবের পাশে থাকার কথা বলেছেন তিনি।
জুয়াড়িদের প্রস্তাব গোপনের বিষয়ে একটি দৈনিক পত্রিকায় মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘আমি বিসিবির সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, তারা আইসিসির কাছে লিখবেন। আশা করি, আজকের মধ্যে জানা যাবে আসলে কি হতে যাচ্ছে। এটা আইসিসির বিষয়, আমাদের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। তবে কোনো কঠোর সিদ্ধান্ত আসুক বা না আসুক, অবশ্যই আমরা সাকিবের পাশে থাকব। কিভাবে রক্ষা করা যায় চেষ্টা করব। খেলোয়াড়রা আমাদের সম্পদ, তাদের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। অবশ্যই তাদের পাশে আছি।’
ভারত সফরের জন্য সাকিবকে অধিনায়ক রেখেই বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করা হয়েছে কয়েক দিন আগে। তবে দলের অনুশীলনে সাকিবের অনুপস্থিতি দেখে নানা গুঞ্জন।
মঙ্গলবার দেশের একটি দৈনিকে বলা হয়, দুই বছর আগে জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েও আইসিসি বা বিসিবিকে জানাননি সাকিব।
এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘বিসিবি থেকে আমাকে যেটা বলেছেন, তারাও কিছু জানতেন না। সাকিব হয়ত হালকাভাবে নিয়েছেন, হয়ত ভেবেছেন কিছু হবে না।’
আইসিসির নিয়মে যা আছে
এ ধরনের ঘটনা আকসু স্বাধীনভাবে তদন্ত করে। তদন্ত চলার সময় সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বললেও খুব প্রয়োজন না হলে সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে তারা জানায় না। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হলে আইসিসি বিষয়টা পাঠায় তাদের আইনি বিভাগকে। আইন বিভাগের সিদ্ধান্ত জানার পরই আইসিসি অভিযুক্ত খেলোয়াড়কে ধারা অনুযায়ী শাস্তি দিয়ে থাকে। এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে তারা জানায়। শাস্তি চূড়ান্ত হওয়া পর আইসিসি সবাইকে জানিয়ে দেয়।
শাস্তি নির্ধারণের পর ওই খেলোয়াড়ের সামনে দুটি পথ খোলা থাকে। হয় মেনে নেয়া না হয় আইসিসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটা।
বিসিবি যেহেতু বলছে আইসিসি তাদের কিছুই জানায়নি, সাকিবের বিষয়টি কোন পর্যায়ে আছে সেটিও তারা জানে না। জানে না বলেই তারা এই পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থানও পরিষ্কার করতে পারছে না।
টাইমস/এসআই