এক নজরে শ্রীলংকান অধিনায়ক দিমুথ কারুনারত্নে

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মাটিতে শুরু হয়েছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯। এতে অংশ নিয়েছে সেরা ১০টি দল। আর সেনাপতির মতো সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধিনায়কেরাও। অন্যান্য যেকোনো খেলার চেয়ে ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ক্রিকেটের অধিনায়কেরা দলকে বেশি প্রভাবিত করতে পারেন।

আসুন সংক্ষেপে জেনে নিই শ্রীলংকার জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক দিমুথ কারুনারত্নের কথা।

দিমুথ কারুনারত্নে ২১ এপ্রিল ১৯৮৮ সালে শ্রীলংকার কলম্বোতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাঁ হাতে ব্যাটিং করে থাকেন।

খেলোয়াড়ি জীবন: খেলোয়াড় তৈরির কলেজ হিসেবে খ্যাত কলম্বো সেন্ট জোসেফস কলেজে লেখাপড়া করেন কারুনারত্নে।

সেই কলেজ থেকে শ্রীলংকান টেস্ট খেলোয়াড় চামিন্দা ভাস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস এবং থিসারা পেরেরার মত দুর্দান্ত সব খেলোয়াড়ের জন্ম হয়েছে।

কারুনারত্নেকে প্রথমে শ্রীলংকার অনুর্ধ্ব ১৯ দল এবং শ্রীলংকা এ স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরে ২০১১ সালের জুনে তাকে সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিকে ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড সফরের জন্য মনোনীত করা হয়।

ওই সফরে দুটি ম্যাচে তিনি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমটিতে মাত্র ৪ রান এবং দ্বিতীয়টিতে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬০ রান করেন।

তাকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২০১১ সালের শেষ দিকে টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনটি টেস্টের কোনো ম্যাচে তাকে সুযোগ দেওয়া হয়নি।

২০১২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাটিতে টেস্ট দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি তিলকারত্নে দিলশানের ইনজুরির সুযোগে দলে জায়গা পান। এই সিরিজে তার টেস্ট অভিষেক হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে শূন্য রান করেন। যা হোক তিনি তার সামর্থ্য দেখান দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত অর্ধশতক করেন এবং দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।

 নিউজিল্যান্ড সিরিজে টেস্ট স্কোয়াডে নাম থাকায় তাকে পুনরায় অস্ট্রেলিয়া সফরের তিনটি টেস্ট ম্যাচেও রাখা হয়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত পেস বোলিং অ্যাটাকে তিনি ভাল করতে পারেননি। সিডনিতে সিরিজের শেষ টেস্টে তিনি তার সর্ব্বোচ্চ টেস্ট রানের স্কোর গড়েন দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৫ করেন।

 

টাইমস/এএইচ/জেডটি

Share this news on: