এক নজরে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মাটিতে শুরু হয়েছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯। এতে অংশ নিয়েছে সেরা ১০টি দল। আর সেনাপতির মতো সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধিনায়কেরাও। অন্যান্য যেকোনো খেলার চেয়ে ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ক্রিকেটের অধিনায়কেরা দলকে বেশি প্রভাবিত করতে পারেন।

আসুন সংক্ষেপে জেনে নিই বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার কথা।

নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত মাশরাফি বিন মর্তুজা ১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর নড়াইলে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন।

তিনি ডান হাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি পেস বোলার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন।

তাকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বকালের সেরা পেস বলার ও সেরা অধিনায়ক বলা হয়।

খেলোয়াড়ি জীবন: মাশরাফির আক্রমণাত্মক, গতিময় বোলিংয়ের জন্য অনুর্ধ-১৯ দলে থাকতেই তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ফাস্ট বোলার অ্যান্ডি রবার্টসের নজর কেড়েছিলেন। রবার্টসের পরামর্শে মাশরাফিকে বাংলাদেশ দলে নেয়া হয়।

২০০৪ সালে ভারতের বিরুদ্ধে খেলার সময় রাহুল দ্রাবিড়কে অফ-স্ট্যাম্পের বাইরের একটি বলে আউট করে তিনি স্বরুপে ফেরার ঘোষণা দেন। সেই সিরিজে তিনি ধারাবাহিকভাবে বোলিং করেন এবং টেন্ডুলোর ও গাঙ্গুলীকে আউট করার সুযোগ তৈরি করেন। তবে ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় তিনি উইকেট পাননি। এই সিরিজের একটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে অবিস্মরণীয় জয়ের নায়ক ছিলেন ম্যাশ।

২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তিনি ভালো বল করেন। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে তার গড় ছিল সবচেয়ে ভালো। কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নাটকীয় জয়ে তিনি অবদান রাখেন। তিনি মারকুটে ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে শূন্য রানে আউট করেন এবং দশ ওভারে মাত্র ৩৩ রান দেন।

১৬ বছরের ক্যারিয়ারে ১১ বার চোটের কারণে দলের বাইরে যেতে হয়েছে মাশরাফিকে। চোটই তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল ২০১১ সালের দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ। ২০১৬ সালের রকেট বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় খেলায় দুই উইকেট সংগ্রহের মাধ্যমে মোট ২১৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি হিসাবে তুলে ধরেন নিজেকে।

 

টাইমস/এএইচ/জেডটি

Share this news on: