বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী পাঁচ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশ সরকার চলতি অর্থবছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। একই সাথে চলতি অর্থবছরে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী পাঁচ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর রবার্ট জে সম।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিশ্ব ব্যাংকের আবাসিক কার্যালয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির হাল হকিকত নিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এতে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি থাকা বিশ্বে চারটি দেশ হচ্ছে- ইথিওপিয়া (৮.৮%), রুয়ান্ডা (৭.৮%), ভুটান (৭.৬%) এবং ভারত (৭.৫%)।

‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট: রেগুলেটরি প্রেডিক্টেবলিটি ক্যান সাসটেইন হাই গ্রোথ’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হলেও রপ্তানি ও রেমিটেন্সে ভর করে বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পেতে পারে।

বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, রপ্তানি, আমদানি, রাজস্ব আদায়, বেসরকারি বিনিয়োগ এবং সরকারি বিনিয়োগসহ অর্থনীতিক সূচকগুলো বিশ্লেষণ করে চলতি অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধি হবে বলে আমরা ধারণা করছি।

প্রবৃদ্ধি টেকসই রাখতে সংস্কারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার তাগিদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি মনে করে, ব্যাংক খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম দুর্বল খাত। বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ, আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। রাজস্ব আদায়ে জোর দিতে হবে।

এর আগে বুধবার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০১৯ প্রকাশ করে এডিবি। সেখানে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে পূর্বাভাস দিয়েছিল, চলতি অর্থবছরে (২০১৮-১৯) মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি আট শতাংশ হবে। এডিবি বলছে, ব্যাপক ভোগ চাহিদা ও সরকারি বিনিয়োগের কারণে এই প্রবৃদ্ধি অর্জিত হতে পারে। এ ছাড়া রপ্তানি ‘পারফরম্যান্স’ প্রবৃদ্ধিতে বাড়তি অবদান রাখছে। এর পাশাপাশি শিল্প খাতের সম্প্রসারণ প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
৫ গোলের ম্যাচে এক গোল করেই কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন Dec 04, 2025
img
রাফিনিয়া ব্যালন ডি’অর না জেতায় হতবাক সিমেওনে Dec 04, 2025
img
গাইবান্ধায় ধানের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ Dec 04, 2025
img
নীলফামারীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ জনের Dec 04, 2025
img
নবম পে-কমিশন: গেজেটের দাবিতে মহাসমাবেশের ডাক সরকারি কর্মচারীদের Dec 04, 2025
img
লাল কার্ডের জন্য কষ্ট পাচ্ছেন লুকাস পাকুয়েতা Dec 04, 2025
img
রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচের বিষয়ে নতুন উদ্যোগ Dec 04, 2025
img
রাজধানীতে আবারও ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত Dec 04, 2025
img

লে. কর্নেল রাশেদ কামাল রনি

‘সীমান্তে পুশইন মোকাবিলায় বিজিবি-জনতা একত্রিত হতে হবে’ Dec 04, 2025
img
১১৭২ জাল সনদধারী শিক্ষক শনাক্ত Dec 04, 2025
img
১৯ দেশের নাগরিকদের অভিবাসন স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র Dec 04, 2025
img

৪ ডিসেম্বর

ইতিহাসের এই দিনে স্মরণীয় যত ঘটনা Dec 04, 2025
জামায়াত মওদুদীবাদে বিশ্বাস করে, ইসলামে বিশ্বাস করে: মির্জা আব্বাস Dec 04, 2025
যুদ্ধের ক্ষত নিয়েও নতুন জীবনের স্বপ্ন, গাজায় ৫৪ দম্পতির গণবিয়ে Dec 04, 2025
সোমালিয়ার অভিবাসীদের আবর্জনা আখ্যা দিলেন ট্রাম্প Dec 04, 2025
পুঁজিবাদ নয় নারীর পরিচয় ও মর্যাদা নিয়ে কুরআনের নির্দেশনা সর্বোত্তম: খামেনি Dec 04, 2025
ট্রাইব্যুনালে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইলেন ফজলুর রহমান Dec 04, 2025
খালেদা জিয়া মৃত্যুবরন করলে আখিরাতেও একই ধরনের সম্মান পাবে-ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান Dec 04, 2025
শেখ হাসিনার চুক্তি এই আমলেও বহাল কেন? প্রশ্ন বন্দর আন্দোলনের নেতাদের Dec 04, 2025
জনগণের সিদ্ধান্তকে আমরা চূড়ান্ত মেনে নিব; হাসনাত আবদুল্লাহ Dec 04, 2025