এসডিজি বাস্তবায়নে অর্থবহ সুবিধা প্রয়োজন: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশ সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে এবং এসডিজির লক্ষ্যগুলো সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্থবহ সুবিধা প্রয়োজন।

শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) বাংলাদেশের ট্রেড পলিসি রিভিউ কমিটির সমাপনী বৈঠকে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন তিনি। শনিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে সভায় টিপু মুনশি বলেন, আমদানি-রপ্তানি সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সমুদ্রবন্দরগুলো সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বন্দরের কাজ করার সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি নতুন সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলা হয়েছে। সড়ক পথ সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এখন দ্রুততম সময়ের মধ্যে পণ্য পরিবহন সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার বাণিজ্যনীতি বাস্তবায়নের আগ্রহ এবং সদস্য দেশগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ বাংলাদেশকে আরও উৎসাহিত করেছে। সম্প্রতি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) দ্রুত অগ্রগামী পাঁচটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে অন্যতম উল্লেখ করেছে এবং এ বছর জিডিপি ৮ ভাগেরও বেশি অর্জিত হবে বলে জানিয়েছে। বাংলাদেশ এখন দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ আক্রান্ত ও দরিদ্র দেশের রোল মডেল নয়, এখন একটি সম্ভাবনাময় দেশ। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মধ্যে উন্নয়নের রোল মডেল, বিশ্ব সভায় তা স্বীকৃত। দারিদ্র ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

ডব্লিউটিও ট্রেডপলিসি রিভিউ বডির চেয়ারম্যান অ্যাম্বাসেডর টিহাংকির সভাপতিত্বে সভায় অ্যাম্বাসেডর ডি রোবার্তো, বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে সভায় বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, জেনেভায় বালাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম এম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মুনির চৌধুরীসহ ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

 

টাইমস/এএস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে ডাকসুর মার্চ শুরু Dec 15, 2025
img
শেষ মুহূর্তে বাতিল হলো নরেন্দ্র মোদি ও মেসির সাক্ষাৎ Dec 15, 2025
img
বিজয় দিবস উপলক্ষে ৪০ মিনিট বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল চলাচল Dec 15, 2025
img
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ Dec 15, 2025
img
ওমরাহ ও হজযাত্রীর শিশুদের নিরাপত্তায় সৌদি আরবের নতুন উদ্যোগ Dec 15, 2025
img
সুদানে বাংলাদেশের ৬ শান্তিরক্ষীর মৃত্যুতে নৌ-পরিবহন উপদেষ্টার শোক Dec 15, 2025
img
৩৬ বাংলাদেশিকে নাগরিকত্ব দিল ভারত Dec 15, 2025
img
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ছক্কার নতুন দুই রেকর্ড গড়লেন অভিষেক শর্মা Dec 15, 2025
img
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের Dec 15, 2025
img
এখনো আমরা স্বাধীন নই, দাবি ‘গাল্লিবয়’ খ্যাত তাবীবের Dec 15, 2025
img
বলিভিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় প্রাণ গেল ৭ জনের Dec 15, 2025
img
'শোয়াই ফেলব একদম’ শান্তর এমন মন্তব্যের জবাব মাঠে দিতে চান মিরাজ Dec 15, 2025
টানা চতুর্থ জয়ে আর্সেনালের আরও কাছে ম্যানসিটি Dec 15, 2025
দক্ষিন আফ্রিকাকে হারিয়ে সিরিজে ২-১ এ এগিয়ে ভারত Dec 15, 2025
img
হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে চলছে পঞ্চম দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ Dec 15, 2025
img
বাংলাদেশ ঢুকছে আরেকটি অত্যন্ত সংবেদনশীল অধ্যায়ে : জিল্লুর রহমান Dec 15, 2025
img
ব্রিটিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সেরা ক্যাডেট পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশের রিফাত Dec 15, 2025
img
ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় আটক আরও ২ Dec 15, 2025
img
চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে ডায়রিয়া, ১০ দিনে হাসপাতালে ভর্তি ১০৭০ রোগী Dec 15, 2025
img
দেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে আনিস আলমগীরের বড় একটা ভূমিকা আছে: মাসুদ কামাল Dec 15, 2025