ইরাকে আটকা পড়া টাকা ৩০ বছর পর পাচ্ছে বাংলাদেশ

১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের শ্রমিকদের ও পাটপণ্য রপ্তানির টাকা ইরাকের একটি ব্যাংকে আটকে যায়। সেই অর্থ এখনো পায়নি বাংলাদেশ। ফলে দেশটিতে এখনো রয়ে গেছে বিভিন্ন ব্যাংকের বেশ কিছু টাকা।

৩০ বছর পর আটকা পড়া সেই অর্থ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সোনালী ব্যাংক দুই লাখ ৫৭ হাজার ডলার (দুই কোটি ১৬ লাখ টাকা) ফিরিয়ে আনার জন্য ইরাকের ওই ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে। ফলে তিন দশক পর ফিরতে শুরু করছে দেশটিতে আটকে থাকা এ দেশের শ্রমিকের টাকা। সোনালী ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইরাকের একটি সরকারি ব্যাংকের কাছে থাকা ২ লাখ ৫৭ হাজার ডলার আদায় করেছে সোনালী ব্যাংক। এ টাকা ফেরত আনতে সম্প্রতি বাগদাদের রাফিদেইন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান খাওলা তালিব জব্বারের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল মকবুল। চুক্তি অনুযায়ী শিগগিরই দেশটির ব্যাংক এ টাকা ফেরত পাঠাবে।

চুক্তি স্বাক্ষরকালে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও ফরেন রেমিট্যান্স ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের উপমহাব্যবস্থাপক মো. আবদুল ওয়াহাব উপস্থিত ছিলেন। ইরাকে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আবু মাকসুদ মো. ফরহাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় এ অর্থ পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাংকটি।

দূতাবাস কর্মকর্তা আবু সালেহ্ মোহাম্মাদ ইমরান জানান, ইরাকে সার্বিক পরিস্থিতি উন্নত হওয়ায় এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসায় অর্থ আদায় সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ইরাকের ব্যবসা-বাণিজ্য নতুন করে শুরুর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের অর্থ দেশে আনতে রাফিদেইন ব্যাংকের সঙ্গে সোনালী ব্যাংকের চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে সমঝোতা হয়েছে।

জানা গেছে, সোনালী ব্যাংকের মতো আরও কয়েকটি ব্যাংকের টাকা দেশটিতে রয়ে গেছে। কারণ, ওই সময়ে সৌদি আরবের পরই ইরাকে বেশি শ্রমিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী কর্মরত ছিলেন। যুদ্ধ শুরু হলে বেশির ভাগ শ্রমিক দেশে ফিরে আসেন। অনেকে অন্য দেশে চলে যান। আবার যে পণ্য রপ্তানি হয়েছিল, সেই রপ্তানি আয়ও দেশে আসেনি। তবে দেশে অর্থ শোধ করে দিয়েছে সোনালী ব্যাংক।

 

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সিলেটে রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে রেলপথ অবরোধ প্রত্যাহার Nov 01, 2025
img
বদনাম কুড়ানো ছবিটিই হিট : চিরঞ্জিত Nov 01, 2025
img
ডিভোর্সে ৫ কোটি খোরপোশ নিয়ে মুখ খুললেন মাহি Nov 01, 2025
img
নির্বাচন পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা Nov 01, 2025
img
বিএনপি বলে আমরা জামায়াত, আবার জামায়াত বলে বিএনপি : হাসনাত আব্দুল্লাহ Nov 01, 2025
img
নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র চলছে : দুলু Nov 01, 2025
img
রাজধানীতে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৩ Nov 01, 2025
img
'টেস্ট ক্রিকেটে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে গর্বের বিষয়' Nov 01, 2025
img
সারাজীবন মায়ের আশ্রয়েই ছিলাম : কাজল Nov 01, 2025
img
সোহানের পায়ে অস্থায়ী প্লাস্টার, করানো হবে এমআরআই Nov 01, 2025
img
শিগগিরই আবার আগের ছন্দে ফিরবে বাংলাদেশ, আশা ফাহিমের Nov 01, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬৫১ Nov 01, 2025
img
‘নেট জিরো কার্বন এমিশন’ ধনী দেশগুলোর নতুন অর্থনৈতিক প্রতারণা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Nov 01, 2025
img
বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে বোঝাপড়া হচ্ছে বলে শুনতে পাচ্ছি: পাটওয়ারী Nov 01, 2025
img
ভারতে মন্দিরে পূজা দিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে প্রাণ গেল ১২ জনের Nov 01, 2025
img
কিংবদন্তি চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যার দ্রুত বিচারের দাবি ভক্তদের Nov 01, 2025
img
ভেনিজুয়েলায় হামলার বিষয়ে ট্রাম্পের স্পষ্ট বার্তা Nov 01, 2025
img
নরসিংদীতে দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৮ Nov 01, 2025
img
শাহরুখের সৌজন্য ও ব্যক্তিগত কথোপকথনে মুগ্ধ জন সিনা Nov 01, 2025
img
ইসলাম ছাড়া পৃথিবীর কোনো আইনে ন্যায়বিচার সম্ভব নয় : শফিকুল ইসলাম মাসুদ Nov 01, 2025