তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড পরিচালিত ২২ খাতে সম্ভাব্য দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর কাছে এ দুর্নীতির উৎসগুলো প্রতিবেদন আকারে হস্তান্তর করেন।
দুর্নীতির উৎসগুলো হলো- অবৈধ সংযোগ, নতুন সংযোগে অনীহা এবং অবৈধ সংযোগ বৈধ না করা, অবৈধ লাইন পুনঃসংযোগ, অবৈধ সংযোগ বন্ধে আইনগত পদক্ষেপ না নেয়া, অদৃশ্য হস্তক্ষেপে অবৈধ সংযোগ, গ্যাস সংযোগে নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ না করা, বাণিজ্যিক শ্রেণির গ্রাহককে শিল্প শ্রেণির গ্রাহক হিসেবে সংযোগ প্রদান, মিটার টেম্পারিং, অনুমোদনের অতিরিক্ত বয়লার ও জেনারেটরে গ্যাস সংযোগ, মিটার বাইপাস করে সংযোগ প্রদান-সংক্রান্ত দুর্নীতি, এস্টিমেশন অপেক্ষা গ্যাস কম সরবরাহ করেও সিস্টেম লস দেখানো, ইচ্ছাকৃতভাবে ইভিসি (ইলেকট্রনিক ভলিউম কারেক্টর) না বসানো ইত্যাদি।
এসময় দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এমন ২৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সার্বিক বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২০১৭ সাল থেকে ২৫টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করে দুদক। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি টিমের প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এসব দুর্নীতি-অনিয়ম প্রতিরোধে সুপারিশ করা হয়েছে। কমিশনের এই প্রতিবেদন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হলে দুর্নীতি প্রতিরোধ সহজ হবে।
এ সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দুদকের এই কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, দুদকের এই প্রতিবেদন গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে শূন্যসহিষ্ণুতা নীতি ঘোষণা করেছেন, এ মন্ত্রণালয়ে তা কার্যকরভাবে অনুসরণ করা হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
টাইমস/এমএএইচ/এসআই