বকেয়া পরিশোধ ছাড়া ট্যানারিতে চামড়া বিক্রি নয়: বিএইচএসএমএ

বকেয়া টাকা পরিশোধ না করলে এবার ট্যানারি মালিকদের কাছে চামড়া বিক্রি করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন পুরান ঢাকার পোস্তার কাঁচা চামড়ার আড়তদাররা।

শনিবার রাজধানীর লালবাগের পোস্তায় আড়তদারদের নিয়ে সভা শেষে এই কথা জানান কাঁচা চামড়া আড়তদারদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। এ সময় সংগঠনের সেক্রেটারি হাজী মো. টিপু সুলতানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, ট্যানারি মালিকদের কাছে আড়তদারদের প্রায় ৪০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এ টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত ট্যানারি মালিকদের কাছে চামড়া বিক্রি করব না। সভায় আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামীকাল (রোববার) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ট্যানারি মালিক, আড়তদার ও কাঁচা চামড়া সংশ্লিষ্টদের বৈঠক আছে। সেখানে আলোচনার পর আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। আজকে চামড়া বিক্রি করার কথা থাকলেও আমরা এখন থেকে আর বিক্রি করব না।

বিএইচএসএমএ সভাপতি বলেন, ট্যানারিগুলো বকেয়া টাকা না দেয়ায় এবার অর্থের অভাবে চামড়া কিনতে পারিনি। অন্যান্য বছর ঈদের আগের-দিন আড়তদারদের সঙ্গে আলোচনা করলেও এবার তারা কোনো কথা বলেনি। তারা যদি আমাদের আশ্বস্ত করত ন্যায্য দামে চামড়া কিনতে তাহলে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। কিন্তু এটি না করে উল্টো মিডিয়ার কাছে নানা কথা বলেছেন। এ কারণে আরও দর কমেছে। তাই ট্যানারি মালিকরাই এ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন।

এদিকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার থেকে কোরবানির পশুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া কেনা শুরু করেন ট্যানারি মালিকরা।

সরকার ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৪৫-৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫-৪০ টাকা নির্ধারণ করে। গত বছর প্রতি বর্গফুটের দাম একই ছিল।

এ ছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮-২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৩-১৫ টাকায় সংগ্রহ করতে বলা হয় ব্যবসায়ীদের। গতবার খাসির চামড়ার দামও ছিল একই।

 

টাইমস/এএইচ/এইইউ

Share this news on: