পুঁজিবাজারের উন্নয়নে আরও ট্যাক্স সুবিধা দেয়া হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান

পুঁজিবাজারের চলমান অবস্থা পরিবর্তনে প্রয়োজন হলে এর চেয়ে বেশি ট্যাক্স সুবিধা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘পুঁজিবাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময়’ সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কথা জানান তিনি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরবৃন্দ।

মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের বর্তমানে পুঁজিবাজারের যে অবস্থা, এভাবে তো চলতে দেয়া যায় না। এটা নিশ্চয় উন্নতি করতে হবে। আমি এখানে বলেছি, বর্তমানে আমরা যে ট্যাক্স সুবিধা দিয়েছি, যথেষ্ট ভালো ট্যাক্স সুবিধা।

‘যেমন শেয়ার বিক্রি করার পর যে ক্যাপিটাল গেইন (লাভ) হয়, ১০ টাকার শেয়ার কেউ ২০ টাকা দিয়ে কিনে ৩০ টাকায় বিক্রি করল প্রতি শেয়ার। সেই হিসাবে এক হাজার শেয়ার বিক্রি করলে আমার ৩০ হাজার টাকা গেইন হয়। এই ৩০ হাজার টাকার ওপর কোনো ট্যাক্স নেই।’

এ রকম আরও অনেক কিছু আছে, যেসব সুবিধা আমরা দিয়ে রেখেছি। যদি প্রয়োজন হয়, এর চেয়ে বেশি ট্যাক্স সুবিধা দেব’- বলেন এনবিআরের চেয়ারম্যান।

বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মোশাররফ হোসেন বলেন, দু-একটি বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছিল যে, বিদেশি যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, তারা হয়তো চলে যাবে। আমি বলেছি, তারা কোনোভাবেই চলে যাবে না। প্রয়োজনে হলে মধ্যস্থতা করে আমরা তাদের রাখব।

এসব ক্ষেত্রে কিছু আইনগত বাধা আছে বলেও জানান এনবিআরের এই চেয়ারম্যান।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান, ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান এবং সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও আইসিবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা।

 

টাইমস/এএইচ/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
অর্থনীতিতে কাঙ্ক্ষিত বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির সংস্কৃতি এখনও গড়ে ওঠেনি : ডিসিসিআই Dec 26, 2025
img
শাহবাগে বাড়ছে জমায়েত, সারারাত থাকার ঘোষণা Dec 26, 2025
img
নির্বাচন সামনে রেখে ইয়াঙ্গুনের দীর্ঘ কারফিউ তুলে নিচ্ছে জান্তা Dec 26, 2025
img
২০২৬ সালে কি বিশ্ব রাজনীতি বদলে দেবেন ট্রাম্প? Dec 26, 2025
img
রিশাদের দুর্দান্ত বোলিং, প্রশংসায় ভাসালেন টিম ডেভিড Dec 26, 2025
img
বরিশালে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার Dec 26, 2025
img
এবার মাঠ ছাড়িয়ে আদালতে মুখোমুখি রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা Dec 26, 2025
img
আশুগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসে মিলল ভারতীয় পণ্য, আটক ১ Dec 26, 2025
img
দুবাই থেকে দেশের পথে সাড়ে ৩০ লাখ টাকার বিপিএল ট্রফি Dec 26, 2025
img
১.১ কোটি টাকার নাঈম শেখের ব্যাটে রান মাত্র ১১ Dec 26, 2025
img
নিজেদের মাঠে উদ্বোধনী ম্যাচ হেরে মিরাজের প্রতিক্রিয়া Dec 26, 2025
img
হাদি হত্যা: ফয়সালকে পালাতে সহায়তাকারী ২ আসামি কারাগারে Dec 26, 2025
img
লিভারপুল ও উলভস ম্যাচে মাসকটের সঙ্গে মাঠে নামবে জোতার ২ ছেলে Dec 26, 2025
img
জামায়াতে যোগ দিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম Dec 26, 2025
img
বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান সাবেক এলডিপি নেতার Dec 26, 2025
img

কিশোরগঞ্জ-৫

শেখ মজিবুর রহমান ছাড়া কাউকে মানতে নারাজ বিএনপির তৃণমূল Dec 26, 2025
img
হাটহাজারী থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার Dec 26, 2025
img
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে অতিরিক্ত মেট্রোরেল চলবে শনিবার Dec 26, 2025
img

ইমরান হোসাইন নূর

কী প্ল্যান নিয়ে আসবেন জানা আছে, নতুন করে আর ধোঁকাবাজি করবেন না Dec 26, 2025
img
ফেসবুক পোস্টে শিবিরের নতুন সভাপতির বার্তা Dec 26, 2025