চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে মাঠে অগ্রণী ব্যাংকের ৮০০ কর্মী

চাকরি স্থায়ী করণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার ৭৪৫ জন কর্মচারী। মাঠ সহকারী পদে স্থায়ী করার আশ্বাস দিয়ে ২০১১ সালে এসব স্নাতকধারীদের মাস্টার রোলে নিয়োগ দেয়া হয়।

জানা গেছে, ২০১১ সালের ১ আগস্ট মাঠ পর্যায়ে ব্যাংকের ঋণ আদায়, বিতরণ ও সাধারণ ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রথমে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে। পরবর্তীতে এসব কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করা হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়। তবে সেসময় তাদের কোনো নিয়োগপত্র দেয়া হয়নি।

এরপর বিভিন্ন সময় তাদের আন্দোলনের ফলে ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর ব্যাংক চেয়ারম্যানকে দেয়া এক চিঠিতে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত তাদের স্থায়ী করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। তবে কর্তৃপক্ষ এখনো সে প্রতিবেদন দাখিল করেনি। উপরন্তু ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ৭৪৫টি মাঠসহকারীর/সহকারী কর্মকর্তা (পল্লী ঋণ) গ্রেড-২ এর পদ ‍সৃষ্টি করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় বরাবরে কয়েকটি চিঠি দেন। তবে মন্ত্রণালয় আজ পর্যন্ত সেই চিঠির জবাব দেয়নি।

বিষয়টি নিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এবং অর্থ মন্ত্রণালয় একে অন্যের ঘাড়ে দায় চাপাতে ব্যস্ত। এ অবস্থায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন ৭৪৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী। যারা মজুরি পাচ্ছেন ‘নো ওয়ার্ক,নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে। তাদের বর্তমানে নেই কোনো নির্দিষ্ট বেতন, না আছে ছুটি কিংবা চাকুরির নিশ্চয়তা।

এ অবস্থায় চাকুরি স্থায়ী করণের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করে আসছেন এসব অনিশ্চিত জীবন-যাপনকারী শিক্ষিতরা। তাদের দাবি অর্থ মন্ত্রণালয় ও অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিষয়টির সুরাহা করে অনিশ্চিত জীবন থেকে তাদের পরিবার-পরিজনকে রক্ষা করবে।

 

টাইমস/এমএস/এসআই 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
লিটনকে ৭৫ লাখ টাকায় পাবে রংপুর, ভাবতেও পারেননি সোহান Dec 01, 2025
img
পিলখানার ঘটনায় জড়িতরা এখনও বহাল তবিয়তে- অভিযোগ শহীদ পরিবারের Dec 01, 2025
img
আমরা তিন পয়েন্ট পাওয়ার মত ভালো খেলিনি: আলোনসো Dec 01, 2025
img
ভিনিসিয়ুসকে ‘ভুল’ না করতে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ নেইমারের Dec 01, 2025
img
দেশের আদালতে প্রথমবার সাজা পেলেন ব্রিটিশ এমপি Dec 01, 2025
img
শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, জনভোগান্তি চরমে Dec 01, 2025
img
চট্টগ্রাম বন্দরের বিদেশি ইজারা বাতিলের দাবিতে পদযাত্রা Dec 01, 2025
img
নির্বাচিত সরকার যারা চায় না, তারেক রহমান তাদের জন্য বড় বাধা Dec 01, 2025
img
প্রতিবছর রোডক্র্যাশে মৃত্যু ৫ সহস্রাধিক, ৭০ শতাংশের জন্যই দায়ী অতিরিক্ত গতি Dec 01, 2025
img
চট্টগ্রামে বস্তিতে আগুন, প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে Dec 01, 2025
img
খুলনায় চলছে ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশ Dec 01, 2025
img
নিজের সুখই সবচেয়ে জরুরি: শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি Dec 01, 2025
img
যাত্রী নিরাপত্তায় মেট্রো ট্র্যাকে ডিএমটিসিএলের নজরদারি Dec 01, 2025
img
বিভিন্ন থানায় পুলিশ টাকা ছাড়া কথা শোনে না : সারজিস Dec 01, 2025
img
আমার সঙ্গী অর্ধ-ভারতীয়, ছেলের নাম শেখর: ইলন মাস্ক Dec 01, 2025
img
নেইমারের ‘অদ্ভুত অভ্যাস’ ফাঁস করলেন সাবেক সতীর্থ Dec 01, 2025
img
পরিচালকের অপমানে কেঁদেছিলেন অভিনেতা অক্ষয় Dec 01, 2025
img
বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা চলছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা Dec 01, 2025
img
ভারতের স্বার্থ রক্ষা ও ক্ষমতা দীর্ঘ করতে পিলখানার হত্যাকাণ্ড ঘটান হাসিনা: রাকিন আহমেদ Dec 01, 2025
img

হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক

দুর্নীতি বর্তমানে রোগে পরিণত হয়েছে Dec 01, 2025