শাকিবের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি, অপু সাক্ষী!

ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। এবার তার বিরুদ্ধে শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ এনে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এক প্রযোজক। অভিযোগকারী হচ্ছেন ‘মাই ডার্লিং’ সিনেমার প্রযোজক মনিরুজ্জামান। 

মনিরুজ্জামান জানান, ২০১৪ সালে ‘মাই ডার্লিং’ সিনেমার নির্মাণ কাজ শুরু করেন তিনি। ওই সময় ১৫ লাখ টাকা পারিশ্রমিকে চুক্তি করে সাইনিংয়ের পুরো টাকার (১৫ লাখ) চেক দেন শাকিব খানকে। এরপর কিছুদিন শুটিং করেই শাকিব নানান টালবাহানা শুরু করেন।

মনিরুজ্জামান বলেন, এক চেক-এ শাকিবকে পুরো ১৫ লাখ টাকা দিয়েছি। কিছুদিন কাজ করেই তিনি শিডিউল ফাঁসান। এরপর আরো পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। অপু বিশ্বাসও বিষয়টি জানেন।

মূলত অপু টাকা লেনদেনের পুরো ঘটনার সাক্ষী। পরে সাদ্দামের মাধ্যমে আরও ২ লাখ টাকা দিলে শুটিংয়ে অংশ নেন শাকিব। এরপর আবারো শুরু হয় শাকিবের টালবাহানা।

পরে অমিত হাসান, হিমেলের মধ্যস্থতায় এফডিসির লাইটিং রুমে বসে আরো তিন লাখ টাকা দিয়ে রশিদ নিয়েছি। এরপরও শিডিউল দেয়নি শাকিব। এটি ছিল অপু বিশ্বাস প্রেগনেন্ট হওয়ার আগের ঘটনা। ওই সময় তিনি অপু বিশ্বাসের সঙ্গে অন্য সিনেমায় কাজ করলেও আমাকে শিডিউল দেননি। শিডিউল চাইলে বলতেন, দিচ্ছি, দিব। কিন্তু এখনো দেয়নি।

এ বিষয়ে কোথায় কোথায় অভিযোগ করেছেন? এমন প্রশ্নে মনিরুজ্জামান বাংলাদেশ টাইমস প্রতিনিধিকে বলেন, একাধিকবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও কোনো ফল পাইনি। পরিচালক সমিতি আমাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, আপনি আইনত ব্যবস্থা নিতে পারেন। আমরা সহযোগিতা করবো।

শিল্পী সমিতিতে দুইবার গিয়েছিলাম। জায়েদ খান দেখি বলে আর পাত্তা দেয়নি। প্রযোজক সমিতিতে অভিযোগ করেছি। এখন আবার নির্বাচিত প্রযোজক সমিতিতেও অভিযোগ করেছি। দেখি, তারা কী করেন।

মনিরুজ্জামান আরও বলেন, আমি শিডিউল চাই না, ক্ষতিপূরণ চাচ্ছি। এ সিনেমায় আমি প্রায় দুই কোটি টাকা খরচ করেছি। শাকিব এই সিনেমায় ২৮ দিন শুটিং করেও শেষ করতে পারেননি। অথচ ১৭ দিনে অন্য সিনেমার কাজ তিনি শেষ করেছেন।

শাকিব শুধু আমাকে নয় পুরো ইউনিটকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন। বেলা চারটা-পাঁচটায় আমাদের শুটিং-এ শাকিব আসতেন। আবার আটটা বাজলেই চলে যেতেন। আমি প্রযোজক সমিতির উত্তরের অপেক্ষায় আছি। এরপর মামলায় যাবো। প্রস্তুতি নিচ্ছি।

প্রসঙ্গত, মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘মাই ডার্লিং’ সিনেমাটি ২০১৪ সালে মহরতের মাধ্যমে শুটিং শুরু হয়েছিল। শাকিব-অপু জুটি ছাড়াও এই সিনেমায় অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমিত হাসান, প্রবীর মিত্র, রেহানা জলি ও কাবিলা। এর কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন পরিচালক নিজেই।

শাকিব খানের শিডিউল ফাঁসানো ও শুটিং সেটে দেরি করে আসা নতুন কিছু নয়। এ নিয়ে চলচ্চিত্রের সংগঠনগুলোতে একাধিকবার অভিযোগও করেছেন অনেকেই।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on: