সময়টা খারাপ যাচ্ছে: রোশান

জিয়াউল রোশান। বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা ও মডেল যিনি দুই বাংলার সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘রক্ত’। জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রযোজনায় ২০১৬ সালে মুক্তি পায় ছবিটি। এ নায়কের ডাক নাম রিক্ত।

ক্যারিয়ারে নায়ক রোশান প্রথম মডেলিং দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ২০১৬ সালে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। ‘রক্ত’ সিনেমায় অভিনয়ের তিনি কাজ করেন ‘ধ্যাততেরিকি’, ‘ককপিট’ ও ‘বেপরোয়া’ নামের ছবিগুলোয়। যেখানে অভিনয় করে সিনেমাপাড়ায় সারা জাগিয়েছেন তিনি। 

বর্তমানে রোশানের হাতে মুক্তির অপেক্ষায় আছে দুটি সিনেমা। সিনেমার কাজ ও ব্যক্তিগত বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ টাইমস প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয় রোশানের। যা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।

সামনে মুক্তি পাচ্ছে আপনার অভিনীত ‘জ্বীন’, কেমন লাগছে?

হুম, আগামী মাসের ১৩ তারিখ প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘জ্বীন’। কার না ভালো লাগে। বেশ উচ্ছল আমি। সত্যি বলতে ছবিটি নিয়ে ভীষণ আশাবাদী। বাকিটা দর্শকদের উপর ছেড়ে দিলাম।

‘জ্বীন’-এ আপনার চরিত্র কি, গল্পটা কেমন?

‘জ্বীন’-এ আমার চরিত্র একেবারেই ভিন্ন। যা এখন বলা যাবে না। তবে নাদের চৌধুরী পরিচালিত এই সিনেমাটি দর্শকদের সাড়া ফেলবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এ ছবিতে আমার বিপরীতে মুন অভিনয় করেছেন। আরো আছেন সজল ভাই ও পূজা চেরী। যারা আলাদা আলাদা চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

‘জ্বীন’র মুক্তি নিয়ে দুইবার তারিখ পরিবর্তন হয়েছে, কারণ কি?

আসলে সিনেমাটি প্রথমে ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। এরপর ছবিটি মুক্তি দেয়া হচ্ছে ১৩ মার্চ। সত্যি বলতে ছবি মুক্তির বিষয়টি নির্ভর করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ওপর। তাই এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছি না।

আপনার হাতে কি কি কাজ রয়েছে?

এই মুহূর্তে আমার হাতে এক হালি (চারটি) ছবির কাজ রয়েছে। তার মধ্যে একটি মুক্তির অপেক্ষায়। ছবিটির নাম ‘মেকআপ’। এছাড়াও দীপংকর দীপনের ‘অপারেশন সুন্দরবন’, অনন্য মামুনের ‘সাইকো’, সাইফ চন্দনের ‘ওস্তাদ’সহ আরো কয়েকটি ছবির কাজ ও কথা চলছে।

চলচ্চিত্রের বর্তমান পরিস্থিতি কেমন মনে হচ্ছে?

আসলে চলচ্চিত্রের বর্তমান পরিস্থিতি আমার চেয়ে আপনারাই ভালো বলতে পারবেন। তবে আমার কাছে মনে হয়, সময়টা খারাপ যাচ্ছে।

সামনে কেমন চরিত্রে কাজ করার ইচ্ছে আছে?

এমন কোন চরিত্রে কাজ করতে চাই যেটা দর্শকরা সাদরে গ্রহণ করবে। আর আজীবন আমাকে মনে রাখবে।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চরিত্র বাছাইয়ে নিজের নিয়মেই চলেন বাসবদত্তা চ্যাটার্জি Dec 12, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে ভেনেজুয়েলার পাশে দাঁড়ালো রাশিয়া Dec 12, 2025
img
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে রাজধানীতে জামায়াতের আনন্দ মিছিল Dec 12, 2025
img
ক্যারিবীয়দের অনায়াসে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল কিইউরা Dec 12, 2025
img
জাপানে আঘাত হানল ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা Dec 12, 2025
img
তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস Dec 12, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, তালিকায় ঢাকার অবস্থান দশম Dec 12, 2025
img
মাগুরায় অবৈধভাবে মজুদ রাখা ৯৪ বস্তা সার জব্দ Dec 12, 2025
img
রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস Dec 12, 2025
img
নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে সদস্যদের প্রতি বিমানবাহিনী প্রধানের আহ্বান Dec 12, 2025
img
রাজধানীতে সিটি কর্পোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থীর Dec 12, 2025
img
নির্বাচন যত সহজ ভাবা হচ্ছে তত সহজ হবে না: তারেক রহমান Dec 12, 2025
img
সীমান্তে সংঘাতের মধ্যেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিল থাইল্যান্ড Dec 12, 2025
img
স্থায়িত্ব বজায় রাখাই বড় কাজ: প্রধান বিচারপতি Dec 12, 2025
img
কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে : সেনাপ্রধান Dec 12, 2025
img
বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়ার মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরিত Dec 12, 2025
img
ভোটগ্রহণে পর্যাপ্ত কর্মকর্তা না পাওয়া গেলে বেসরকারি ব্যাংক থেকে নিয়োগ Dec 12, 2025
img
দলমত নির্বিশেষে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করি : আব্দুল্লাহ Dec 12, 2025
img
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য-মালদ্বীপ ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে বৈঠক Dec 12, 2025
img
ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ল ১৬০৬ কোটি টাকা Dec 12, 2025