বহুল আলোচিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) ভারতের লোকসভায় পাস হয়েছে। সোমবার লোকসভায় বিলটি উত্থাপন করেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপর রাত সাড়ে ১২টায় পাস হয়। বিলের সমর্থনে ভোট পড়েছে ৩১১টি ও বিপক্ষে ৮০টি।
তবে তা নিয়ে প্রবল আপত্তি জানান মুসলমান পার্লামেন্ট সদস্যরা। আর এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে বলতে হয় সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এমআইএম) সভাপতি ও হায়দরাবাদ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আসাদুদ্দিন ওয়াইসির নাম।
তিনি এতটাই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন যে সোমবার লোকসভার অধিবেশন চলাকালেই ছিঁড়ে ফেলেন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কপি। খবর ‘এনডিটিভি’।
বিলটির প্রতিবাদ জানিয়ে ওয়াইসি বলেন, ‘‘এটা দেশকে ভাগ করার প্রচেষ্টা। প্রস্তাবিত আইনটি আমাদের দেশের সংবিধানের বিরোধী।''
তিনি দাবি করেন, এই নাগরিকত্ব বিল আরও এক দেশভাগের কথা বলছে। এটা করা হচ্ছে মুসলিমদের ‘‘রাষ্ট্রহীন'' করে দেওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, গান্ধি ‘‘মহাত্মা'' হয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব কার্ডের বিরোধিতা করার পর। তিনি প্রশ্ন তোলেন তিনি কেন তাহলে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের বিরোধিতা করবেন না।
বিজেপি সরকারকে অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, এভাবে মুসলিমদের রাষ্ট্রহীন করতে চেয়ে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান করছে সরকার।
তবে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিরোধীদের দাবিতে অস্বীকার করে জানান, কোনভাবেই এই বিল সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারাকে লঙ্ঘন করছে না। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কারও অধিকার ছিনিয়ে নেবে না।
অমিত শাহ জোর দিয়ে বলেন, এই বিল ‘‘এমনকী ০.০০১ শতাংশ'' ভারতের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নয়। এই বিল পাস হলে কারও স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না।
টাইমস/এইচইউ