সৌদি আরবের বাদশা বা যুবরাজের প্রতি অপমানজনক কোনো আলোচনাই সৌদি আরব সহ্য করবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল আল-জুবেইর।
সম্প্রতি বিবিসি অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যায় যুবরাজের সম্পৃক্ততাকে নাকচ করে দিয়ে এই হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে আমাদের নেতৃত্ব হলো একটি রেড লাইন। দুটি পবিত্র মসজিদের জিম্মাদার বাদশা সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান হলেন সেই রেড লাইন। তাঁরা প্রত্যেক সৌদি নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করেন। প্রত্যেক সৌদি নাগরিক তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করেন। বাদশা বা যুবরাজের প্রতি অপমানজনক কোনো আলোচনাই সৌদি আরব সহ্য করবে না।
খাসোগি হত্যায় যুবরাজ সালমানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ নাকচ করে আসছে আবদেল আল-জুবেইর বলেন, আমরা একদম পরিষ্কারভাবে বলেছি যে এই হত্যায় যুবরাজ জড়িত নন। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত চলছে। দায়ী ব্যক্তিদের আমরা শাস্তি দেব।
২ অক্টোবর ব্যক্তিগত কাজে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে ঢোকার পর খাসোগিকে হত্যা করা হয়। এই খুনের নির্দেষদাতা হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে যুবরাজ সালমানকে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএও একই কথা বলেছে।
এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার হচ্ছে বিশ্ব জড়ে। এমনকি যুবরাজের অপসারণেরও দাবি উঠেছে। এমনকি সৌদি রাজপরিবারের ভেতর থেকেও যুবরাজের বিরুদ্ধে সমালোচনা হচ্ছে।
এদিকে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সারাবিশ্ব সৌদি আরবের বিপক্ষে থাকলেও দেশটির প্রতি এখনও সমর্থন ধরে রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প জানিয়েছে দিয়েছেন, সিআইএর সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও তিনি যুবরাজ বা সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন না।
ট্রাম্পের এই অবস্থানের বিরোধিতা করেছে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় শিবির। এই হত্যাকাণ্ডে যুবরাজ সালমানের ভূমিকা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস।