কিম-পুতিনের প্রথম বৈঠক

প্রথমবারের মতো শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টে ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার দূর প্রাচ্যের বন্দর শহর ভ্লাদিভস্তকের কাছে রাস্কি দ্বীপে তারা পরস্পরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। খবর এএফপির।

বৈঠকে পুতিন ও কিম দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এ বৈঠকে কিম তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সৃষ্ট অচলাবস্থার ক্ষেত্রে রাশিয়ার সহযোগিতা চান। এদিকে পুতিন চাচ্ছেন বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি বিষয়ে খেলোয়াড় হিসেবে মস্কোকে অগ্রগামী করতে।

আলোচনায় যাওয়ার আগে দেয়া বিবৃতিতে উভয় নেতা ঐতিহাসিক সম্পর্ক জোরদারের জন্য তাদের আশা ব্যক্ত করেন।

উত্তর কোরিয়ার নেতা বলেন, ‘আমি মনে করি দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে এটি হবে অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক। বিশ্ব কোরীয় উপদ্বীপের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ায় আমি মনে করি আমরা অত্যন্ত অর্থবহ সংলাপ করতে পারব।’

পুতিন কিমকে বলেন, কোরীয় উপদ্বীপের উত্তেজনা নিরসনের চলতি প্রচেষ্টার প্রতি তার সমর্থন রয়েছে। পুতিন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে চান।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে কোরীয় উপদ্বীপের এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি আমরা কিভাবে নিরসন করতে পারি সে ব্যাপারে আপনার এই সফর আমাদেরকে সহায়তা করবে এবং এক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রক্রিয়ায় রাশিয়া কিভাবে সহযোগিতা করতে পারে সে ব্যাপারেও আপনার এই সফর আমাদের জন্য সহায়ক হবে।’

পুতিন বলেন, ‘দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে অনেক কিছু করতে পারি।’

 

টাইমস/এসআই

 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দুর্বল হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’ ,গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আভাস Dec 02, 2025
img
ইমরান খানের খোঁজ না মেলায় পাকিস্তানজুড়ে উত্তেজনা, রাওয়ালপিন্ডিতে ১৪৪ ধারা জারি Dec 02, 2025
img
ভূমিকম্পের মাত্রা ছাড়াতে পারে ৭ দশমিক ৮-এর বেশি, এরপর আফটার শক! Dec 02, 2025
img
দেশে তৈরি হয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ: মির্জা ফখরুল Dec 02, 2025
img
মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো টঙ্গীর ৫ দিনের জোড় ইজতেমা Dec 02, 2025
img
'এই দেশের মানুষকে ছেড়ে আমি কোথাও যাব না' Dec 02, 2025
img
আ’লী‌গ নেতাসহ পরিবারের সদস্যের ৬৬ কো‌টি টাকার সম্পত্তি ক্রোক Dec 02, 2025
img
৫ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩ বিলিয়ন ডলার Dec 02, 2025
img
ভোট দিতে প্রবাসী নিবন্ধন ১ লাখ ২৭ হাজার Dec 02, 2025
img
স্বর্ণের ভরিতে বাড়ল ১৫৭৫ টাকা, আজ থেকে বিক্রি হবে নতুন দামে Dec 02, 2025
img
শান্তি আলোচনায় ভূখণ্ড ইস্যু সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ: জেলেনস্কি Dec 02, 2025
img
মধ্যপ্রাচ্যে ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান’ চান পোপ Dec 02, 2025
img
১ কোটি টাকা লাগলেও মুশফিককে কিনত রাজশাহী Dec 02, 2025
img
নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বিএনপির Dec 02, 2025
img
'মা দুটো পথ দেখিয়েছিলেন - জনপ্রিয়তা ও প্রিয়জন' Dec 02, 2025
img
এইচআইভি মোকাবিলায় ৩ দেশে প্রথমবার একযোগে টিকাদান শুরু Dec 02, 2025
img
মেঘাচ্ছন্ন ঢাকার আকাশ, শুষ্ক থাকতে পারে আজকের আবহাওয়া Dec 02, 2025
img
বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন মাদার অব ডেমোক্রেসি ও আপসহীন নেতৃত্বের প্রতীক : ব্যারিস্টার মামুন Dec 02, 2025
img
নেতানিয়াহুকে আহমেদ আল-শারার সঙ্গে দৃঢ় সংলাপ বজায় রাখার তাগিদ ট্রাম্পের Dec 02, 2025
img
উচ্চ ভিত্তিমূল্যে আইপিএল মিনি অকশনে সাকিব-মুস্তাফিজ Dec 02, 2025