ভালো থাকার দশ অভ্যাস

সবাই ভালো থাকতে চায়। তবে ভালো থাকাটা সম্পূর্ণ নিজের উপর নির্ভর করে। আমরা তখনই অন্যদের ভালো রাখতে পারি যখন আমরা নিজেরা ভালো থাকি। জেনে নিন ভালো থাকার দশ উপায়-

১. ধুমপান ছেড়ে দিন
যদি আপনি ধুমপান করেন তাহলে তা বন্ধ করুন। ধুমপানের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি থেকে আরোগ্য লাভ করা সহজ নয়। গবেষণা বলছে, বয়স ৪০ এর আগে কেউ যদি ধুমপান ছেড়ে দেয় তাহলে তার মৃত্যুহার ৯০ শতাংশ কমে।

২. প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমোতে যাওয়া এবং ওঠা
ছুটির দিনগুলোতে হয়তো আপনার ঘুমের কোনো সময়সীমা থাকে না। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছে, প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে গেলে শরীর ও মন ফ্রেশ থাকে। আপনি যদি কিছুদিন বেশি ঘুমান তবে আপনার শরীর তাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বেন। ফলশ্রুতিতে পরবর্তী দিনগুলোতে ক্লান্ত লাগবে। তাই ঘুমের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিন।

৩. নিয়মিত শরীর চর্চা করুন
নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীর মজবুত ও শক্তিশালী হয়। তাই প্রতিদিন যতোটা সম্ভব শরীর চর্চা করুন। এতে শরীরের হাড় ও পেশির শক্তি বাড়াবে।

৫. কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণে কাজ করুন
স্বপ্ন পূরণে দেরি করতে নেই। বাড়ি কিনতে চান? বই লিখতে চান? সন্তানকে মানুষ করার মতো স্বপ্নগুলো পূরণে কাজ শুরু করে দিন।

৬. নিজের যা কিছু আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন
আপনার যা আছে তা নিয়ে যদি খুশি থাকেন তাহলে আপনি জীবনের সুখ পাবেন। এছাড়া আপনার নেতিবাচক চিন্তা দূর হবে।

৭. সবাইকে খুশি করার চিন্তা বাদ দিন
এটা সত্য যে সবাইকে খুশি করা যায় না। কাজেই বন্ধু কিংবা অন্য যেকোনো কারো সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির আগে সতর্ক থাকতে হবে।

৮. অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করবেন না
সবাই সবকিছু জানবে না এটাই স্বাভাবিক। একইসঙ্গে সবার দ্বারা সবকিছু করা সম্ভব নয়। কাজেই কে কি করলো, কে কি পারে তার জন্য মনক্ষুণ্ন হবেন না। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। নিজের সম্ভাবনা খুঁজো বের করুন।

৯. নিজেকে ক্ষমা করুন
আমরা মানুষ। কেউ ভুলের উর্ধ্বে নই। কাজেই ভুলের জন্য নিজেকে ক্ষমা করুন। আর অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগোন। এটি আপনার সফলতার পথ সহজ করবে।

১০. কৃতজ্ঞ থাকুন
দিন শেষে যখন বাসায় ফিরবেন, তখন চিন্তা করুন আপনি কতটা সফল। অনেকেই ঠিক আপনার জীবনটাই পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ মাদরাসা ছাত্রের Nov 14, 2025
img
চোট নিয়ে জাতীয় দল থেকে ছিটকে গেছেন এমবাপে Nov 14, 2025
img
শাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৭ ডিসেম্বর Nov 14, 2025
img
সৈন্যসংখ্যা বাড়াতে নতুন সামরিক নীতি জার্মান সরকারের Nov 14, 2025
img
১০১১টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে এনসিপি Nov 14, 2025
img
প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে কুষ্টিয়ায় মহাসড়ক অবরোধ ও মশাল মিছিল Nov 14, 2025
img
একটি দল সংস্কার চায় না, তারা পুরোনো কায়দায় দেশ চালাতে চায় : ডা. তাহের Nov 14, 2025
img
পিরোজপুর সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাঙচুর, বহিষ্কার ছাত্রদল নেতা Nov 14, 2025
img
ভোলায় প্রচুর গ্যাস রয়েছে, যা কৃষিখাতে কাজে লাগাতে চাই : শিল্প উপদেষ্টা Nov 14, 2025
img

কাদের সিদ্দিকী

যৌবনে প্রেম করিনি, মিছিল করতে করতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছে Nov 14, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রে এইচ-১বি ভিসা বাতিলের বিল পার্লামেন্টে Nov 14, 2025
img
নির্বাচনের পথরেখা ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সফল করতে হবে : জোনায়েদ সাকি Nov 14, 2025
img
দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভারতের হয়ে ইতিহাস গড়লেন সূর্যবংশী Nov 14, 2025
img
রামপুরায় অবৈধ পোস্টার,ব্যানার,ফেস্টুন অপসারণ করল ডিএনসিসি Nov 14, 2025
img
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ‘অস্পষ্টতা’ তুলে ধরল এনসিপি Nov 14, 2025
img
এক হাসিনা যাওয়ার পর আরেক হাসিনা আসার প্রস্তুতি চলছে: পাটওয়ারী Nov 14, 2025
img
আওয়ামী লীগ একটা নিষিদ্ধ সত্ত্বার নাম : অ্যাটর্নি জেনারেল Nov 14, 2025
img
ইউক্রেনকে নতুন সহায়তা প্যাকেজ দিচ্ছে ইতালি Nov 14, 2025
img
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ হারালেন ২ জন Nov 14, 2025
img
ভোলায় অবরুদ্ধ ৩ উপদেষ্টা Nov 14, 2025