বিড়াল সাধারণত মাংসাশী প্রাণী। কিন্তু যখন ঘাস খেতে শুরু করে, তখন খুব অদ্ভুত লাগে তাই না? যারা বিড়াল পোষেন তারা জানেন, তৃণভোজী না হয়েও মাঝে মাঝে বিড়াল ঘাস খায়। কেন খায় সেই প্রশ্নের উত্তর জানালেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল গবেষক।
ওই ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের গবেষকরা বলছেন, আদিকালে বিড়ালের ঘাস খাওয়ার অভ্যাস ছিল। জিনগতভাবে সেটি এখনো থেকে গেছে। মূলত পরিপাকতন্ত্রে কোনো ধরনের গোলযোগ দেখা দিলে বিড়াল সবুজ ঘাস খেয়ে থাকে। ঘাস খাওয়ার পর বমি করার মাধ্যমে বিড়াল পরিপাকতন্ত্রের জটিলতা থেকে মুক্তি পায়।
গবেষকরা অনলাইনে একটি জরিপ চালিয়েছেন। প্রতিদিন অন্তত তিনঘণ্টা বিড়ালকে সময় দেন এ রকম ১ হাজার ২১ জন এ জরিপে অংশ নেন। এর মধ্যে শতকরা ৭১ ভাগ জানান, তারা তাদের বিড়ালকে ঘাস খেতে দেখেছেন। সেই সময় তাদের বিড়াল অসুস্থ ছিল। প্রায় ৯১ ভাগ জানান, ঘাস খাওয়ার কারণে বিড়ালের কোনো শারীরিক অসুবিধা হয়নি।
এছাড়া গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঘাস খাওয়ার পর সব বিড়াল বমি করে না। তার মানে, পরিপাকতন্ত্রে তাদের কোনো ধরনের ঝামেলা না থাকা সত্ত্বেও ঘাস খেয়ে থাকে তারা। ঘাস খাওয়ার পর মাত্র চার ভাগের এক ভাগ বিড়ালকে বমি করতে দেখা গিয়েছে।
সম্প্রতি নরওয়েতে হয়ে যাওয়া ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর অ্যাপ্লাইড ইথোলজি’র বার্ষিক সভায় এই তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে সেই তথ্যগুলো বিজ্ঞান বিষয়ক প্রকাশনা ‘জার্নাল সায়েন্স’ প্রকাশ করে।
টাইমস/জিএস