আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে ভোলা জেলায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া বোরহানউদ্দিনে সহিংসতার ঘটনায় অজ্ঞাত ৫ হাজার জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
ভোলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। মোতায়েন রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), আমর্ড পুলিশ। কাউকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এদিকে সোমবার বেলা ১১টায় ‘সর্বদলীয় ইসলামী ঐক্য পরিষদ’ এর নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাব চত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে।
এর আগে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় সহিংসতার ঘটনায় রোববার রাতে অজ্ঞাতনামা পাঁচ হাজার জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। রোববার রাতে বোরহানউদ্দিন থানার এসআই আবিদ হোসেন এ মামলা করেন।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হক বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কাউসার জানান, ফেসবুকে এক কটূক্তির ঘটনায় হিন্দু বিপ্লব চন্দ্র শুভ, মো. শাকিব ও লিমনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা (নং-১৭) দেয়া হয়। এ মামলায় তাদের ভোলা কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের সঙ্গে রোববার ‘তৌহিদি জনতা’র সংঘর্ষে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা সদর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক যুবকের হ্যাক করা ফেসবুক আইডি থেকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ‘ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট’ দেয়া কেন্দ্র করে দিনভর এ সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত দুজন ছাত্রসহ চারজন নিহত এবং ৩০ পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- বোরহানউদ্দিন উপজেলার মহিউদ্দিন পাটওয়ারীর মাদ্রাসাছাত্র মাহবুব (১৪), উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেনের কলেজপড়ুয়া ছেলে শাহিন (২৩), বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহফুজ (৪৫) এবং মনপুরা হাজিরহাট এলাকার বাসিন্দা মিজান (৪০)।
টাইমস/এইচইউ